প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৪
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
গোয়ালন্দ বাজার, দৌলতদিয়া বাজার, খানখানাপুর বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে সর্বত্রই কেজি ও পিসসহ অতিরিক্ত দামে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ছোট আকারের তরমুজ ২শ ও বড় আকারের তরমুজ ৪-৫শ টাকা পিছে বিক্রি করছে। এতে করে বেশী ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্নআয়ের প্রাণন্তীক জনগোষ্ঠী।
রিক্সা চালক সালাম সেক বলেন, করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলছে এতে করে আয়-রোজগার তেমন নেই বল্লেও চলে তার উপর রমজান মাস চলছে। বাজারে তরমুজ ভরপুর থাকলেও কিনতে সাহস পাইনা কারন একটা তরমুজের যে দাম তা সারাদিনে আয়ও করতে পারি না।
সারাদিন যা আয় করি তা দিয়ে যদি তরমুজ কিনি তাহলে বউপোলাপান নিয়ে উপোস থাকতে হবে। আমাদের মত গরীব মানুষের তরমুজ খাওয়া মানে বিলাসিতা করা। বউপোলাপান তরমুজ খাইতে চাইছে তাই তিনদিন কিছু কিছু করে জমা করেও একটা তরমুজ কিনতে পারি নাই।
উপজেলার কাটাখালী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কামাল ও শামচুল সেক নামে দুই ব্যক্তি আক্ষেপ করেই বলেন গোয়ালন্দ বাজার থেকে আজকেও ৪৫ টাকা কেজি দরে তরমুজ ক্রয় করেছি।শুনেছি প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।তরমুজ কেজিদরে বিক্রয় করতে নিষেধ করেছে তাতে কোন লাভ হয়নি ব্যবসায়ীরা কেজি দরেই তরমুজ বিক্রয় করে চলছে।
রাজবাড়ী সদর এর চরখানখানাপুর এলাকার কালাম ফকির বলেন, আজ শুক্রবার খানখানাপুর হাটের দিন। ভাবছি একটা তরমুজ কিনবো। দোকানে গিয়ে দেখি প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করছে ৫০-৬০ টাকা। এতো দামি তরমুজ কি ভাবে কিনবো। তারপর ছোট সাইজ দেখে ৩ কেজি ওজনের একটা তরমুজ কিনলাম। তার দাম নিলো ১৬০ টাকা।
ইতিমধ্যে উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোয়ালন্দ বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার এলাকায় বিভিন্ন ফলের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।
এসময় উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত দামে তরমুজ বিক্রয় করার কোন সুযোগ নেই। বাজারের সকল ফল ব্যবসায়ীকে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয় না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সবসময় বাজার মনিটরিং করতেছি। যদি কেউ প্রতি কেজি ৩২-৩৫ টাকার ওপরে বিক্রি করে তবে তাকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।
#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১