প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২১, ১২:১৭
বরিশালের হিজলা উপজেলার মেঘনা নদী ষষ্ঠ অভয়াশ্রমের আওতায়, এখানে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত টানা দু মাস সকল প্রকার মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ থাকা সত্ত্বেও অরক্ষিত রয়েছে এই অভয়াশ্রমটি।এই অভয়াশ্রমের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় যারা সংশ্লিষ্ট তাদের অধিকাংশই ইলিশ সম্পদ রক্ষার চেয়ে অর্থের লোভে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন বেশি।
চলতি বছরে এই অভয়াশ্রম রক্ষার দায়িত্বে থাকা হিজলা মৎস্য অফিসার মোঃ আব্দুল হালিম রয়েছেন বিতর্কের শীর্ষে। তার ব্যক্তিগত অর্থ লিপ্সার কারণে অভয়াশ্রমে প্রতিদিন ধরা পড়ছে বিপুল পরিমাণ জাটকা সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। প্রজ্ঞাপনে বলা আছে - ইলিশ অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট নদ-নদীতে ইলিশ সহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
কিন্তু দিনদিন হিজলায় বেড়েই চলছে জাটকা ইলিশ ধরার প্রতিযোগিতা। আর এ কারণেই হিজলায় ইলিশ সম্পদ হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে। হিজলা মৎস্য অফিসার আই-ওয়াশ মুলক খুব গরীব জেলেদের ধরে এনে আইনের আওতায় আনলেও মূল জেলেরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। এদের পেছনে রয়েছে প্রভাবশালী চক্র। যারা গোপনে বৈঠক করে থাকে মৎস্য অফিসারের সাথে।
বেশ কয়েক বছর আগে দেশে ইলিশের আকাল দেখা দিয়েছিলো কিন্তু বর্তমান সরকারের সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশে আবার প্রচুর ইলিশ পাওয়া যায়। ইলিশ এখন বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের একটি বৃহত্তম উৎস।
কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তিদের কারণে ইলিশের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ভবিষ্যতে কঠিন হয়ে যাবে। কারা কারা জেলেদেরকে জাটকা নিধনে উৎসাহীত করছে তাদেরকে আগে চিহ্নিত করা হোক। দু' চারজন অসাধু ব্যক্তির জন্য বিশাল ইলিশ সম্পদকে হুমকির মুখে ঠেলে না দিয়ে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা উচিৎ।
#ইনিউজ৭১/জিহাদ/২০২১