প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২১, ১১:১১
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে কাভার্ডভ্যান ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মানিক মিয়া (২৮) নামে এক এনজিও কর্মী নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে তাহেরুল ইসলাম নামের আরো একজন। সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায়় এই দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মানিক মিয়া মধুপুর উপজেলার আম্বারিয়া গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে এবং বেসরকারি সংস্থা সোস্যাল এডভান্সডম্যান্ট থ্রো ইউনিটি (সেতু) ভূঞাপুর শাখার ক্রেডিট অফিসার-২ (মাঠকর্মী) হিসেবে কর্মরত ছিল। গুরুতর আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এডভান্সডম্যান্ট থ্রো ইউনিটি (সেতু) ভূঞাপুর শাখার ব্যবস্থাপক শাহতাব উদ্দিন বলেন, মানিক মিয়া ও তাহেরুল ইসলাম অফিসের কাজ শেষ করে মোটরসাইকেল যোগে ভূঞাপুর বাজারে ইফতারি কিনতে গিয়েছিলেন। এসময় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে তাদের মোটরসাইকেলের সাথে একটি অটোভ্যানের ধাক্কা লাগে। এসময় মোটরসাইকেলসহ চালক মানিক মিয়া ও তার সহকর্মী তাহেরুল ইসলাম রাস্তায় পড়ে যায়। অপরদিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যানের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মানিক মিয়ার মূত্যু হয়। পরে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।
ভূঞাপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. অনিন্দিতা রানী পাল বলেন, দুর্ঘটনায় দুইজনের মধ্যে মানিক মিয়া নামে একজন হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অপরজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভূঞাপুর থানার এসআই মোঃ লিটন মিঞা জানান, ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ইফতারি কিনে সেতু এনজিও কর্মী মানিক মিয়া ও তার সহকর্মী মোটরসাইকেল যোগে তার অফিসের দিকে যাচ্ছিল। ঘটনাস্থলে পৌছালে তাদের মোটরসাইকেলের সাথে একটি অটোভ্যানের ধাক্কা লাগে। এসময় মোটর সাইকেলসহ চালক মানিক মিয়া ও তার সহকর্মী তাহেরুল ইসলাম রাস্তায় পড়ে যায়।
এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি আসা মেসার্স আশরাফি ট্রান্সপোর্ট নামের একটি কাভার্ডভ্যান তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মানিক নিহত হয় এবং মোটরসাইকেলের অপর আরোহী তাহেরুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
#ইনিউজ৭১/জিহাদ/২০২১