প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২১, ২০:৫০
কুমিল্লার দেবীদ্বারে ফের লকডাউনের আশঙ্কায় কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা। অর্থনৈতিক ক্ষতি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখার নির্দেশ সরকারের। সেই খবর শুনে ঈদ কেনাকাটা করে নিচ্ছেন অনেকেই।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) বিশেষ বিবেচনায় মার্কেট ও দোকান পাট খুলে দেওয়ার দ্বিতীয় দিন বিকেলে দেবীদ্বার নিউমার্কেটের বিভিন্ন মার্কেট ও দোকান পাট ঘুরে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যায়। কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানলেও অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্য বিধি না মেনে দোকান পরিচালনা করতে দেখা যায়। আবার ক্রেতারাও স্বাস্থ্য বিধি না মেনে ছুটছে দোকানপাটে, সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই কোথাও।
মার্কেট ঘুরে কথা হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে। বেচাবিক্রি কেমন হচ্ছে প্রশ্নের উত্তরে গ্রীন মার্কেটের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী টিটু জানান, বেচাবিক্রি আলহামদুলিল্লাহ ভালো, তবে সময়টা যদি সরকার পাঁচটা থেকে বাড়িয়ে নয়টা পর্যন্ত করে দিত তবে আমাদের জন্য ভাল হতো, কেননা রমজান মাস ইফতারের পর মানুষ একটু কেনাকাটা করতে আসতে পারতো।
কথা হয় আরেক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মহসিনের সাথে। তিনি বলেন, বেচা বিক্রি খুব ভালো হচ্ছে। ঈদ আসতে আসতে বেচা-বিক্রি আরো বাড়বে বলে ধারণা করছেন তিনি। শুধু চাইছেন আর যেন লকডাউন না দেয়া হয়। লকডাউনে পড়লে আমাদের ব্যবসা ছেড়ে পথে বসে যেতে হবে বলে জানান তিনি।
একজন কসমেটিক ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, টানা ১১ দিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর,গত দিন থেকে দোকান খুলছি। বেচাবিক্রি ভালোই শুরু হয়েছে।তবুও ভয় হয় আবার যদি লকডাউনে পড়ে যাই তবে আমাদের পথে বসতে হবে।
মার্কেটে কথা হল এক মহিলা ক্রেতার সাথে। তিনি বলেন, লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। তাই দোকানপাট খোলার সংবাদে বাচ্চাদের জন্য আগে থেকে ঈদের কাপড়চোপড় কিনতে আসলাম। কাপড়ের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান আছে মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে।
আরো একজন মহিলা ক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি জানান, বাচ্চাদের জন্য কাপড় কিনেছি এবং আমি নিজেও কাপড় কিনেছি। বর্তমান বাজারে কাপড়ের দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগের চেয়ে তুলনামূলক একটু বেশি।সামনে ঈদ তাই হয়তো একটু বেশি চাচ্ছেন উনারা।
দেবীদ্বার উপজেলা সদরের মার্কেট গুলো ঘুরে ঘুরে দেখা যায় মার্কেটে অধিকাংশই নারী ক্রেতা। জেন্টস আইটেমের দোকান গুলো ক্রেতা শূন্যই বলা চলে। কথা হল ডা. কাঁলাচান সুপারমার্কেটের জেন্টস আইটেম বিক্রেতা ব্যবসায়ী সুমনের সাথে।
তিনি জানান, আমাদের কাছে জেন্টস ও বাচ্চাদের কিছু কালেকশন রয়েছে, পুরুষ ক্রেতারা এখনো মার্কেট করতে নামেনি তাই আমাদের ক্রেতা সংখ্যা কম। তবে লকডাউনের মতো কোনো সমস্যা যদি না আসে দিনে দিনে আমাদের ক্রেতা সংখ্যা ও সাথে বেচাবিক্রি বাড়বে। এবং রমজানে ঈদের বেচা-বিক্রির মধ্য দিয়ে আমাদের লোকসান কিছুটা হলেও পুষিয়ে উঠতে পারবো।
#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১