ধামরাইয়ে গৃহবধূকে স্বামী ও শাশুড়ীর নির্যাতন অতঃপর মৃত্যু

ঢাকার ধামরাইয়ের রোয়াইল এলাকায় গৃহবধু কামরুন্নাহার লক্ষী (৩৫) কে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও শাশুড়ীর বিরুদ্ধে।  

এ ঘটনায় শাশুড়ী বেদেনা বেগম (৭০) কে আটক করেছে পুলিশ। তবে নিহতের স্বামি মিজান মোল্লা (৫০) পলাতক রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুরের দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধামরাই থানার পরিদর্শক তদন্ত কামাল হোসেন। 

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে   ধামরাইয়ের রোয়াইল ইউনিয়নের মধ্য ফরিঙ্গা গ্রামের মিজান মোল্লার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার ফোর্টনগর মোল্লাপাড়ার কুদ্দুস মোল্লার মেয়ে কামরুন্নাহার লক্ষী (৩৫)। নিহতের স্বামী মিজান মোল্লা (৫০) রোয়াইল ইউনিয়নের ফরিঙ্গা মধ্যপাড়া গ্রামের বেদেনা বেগমের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, এক আত্নীয়ের বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য রাতে স্বর্ণের গয়না নিয়ে বৌ,শাশুড়ী ও স্বামীর মধ্যে তর্কবিতর্ক হওয়ার এক পর্যায়ে স্বামী ও শাশুড়ী কামরুন্নাহার কে মারধর করে। পরে কামরুন্নাহার এতে মারা গেলে তার স্বামী পালিয়ে যায়। পরে সকালে স্থানীয় লোকজন শাশুড়ীকে আটক করে পুলিশে খবর দিয়ে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। 

পুলিশ জানায়, কামরুন্নার নামের ওই গৃহবধূকে হত্যার খবর পেয়ে সাকাল ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহকের মরদেহ উদ্ধার করে। এবং পুত্রবধুকে হত্যার অভিযোগে নিহতের শাশুড়ী বেদেনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। স্বামী আগেই পালিয়ে য়াওয়াতে তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। 

ধামরাই থানার পরিদর্শক তদন্ত কামাল হোসেন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবং নিহতের বাবা কুদ্দুস মোল্লা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের স্বামী মিজান মোল্লাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।