প্রকাশ: ৮ জানুয়ারি ২০২১, ১২:২১
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে খাল দখল বন্ধ হচ্ছে না। জানা যায় সরাইলে মেঘনা- তিতাস নদীর শাখা উপজেলার প্রধান প্রধান খাল জাঙ্গালিয়া, বয়ালী, বড্ডা পাড়া, ব্যাপারী পাড়া, উচালিয়া পাড়া- বড় দেওয়ান পাড়া সহ নিজ সরাইল সংযোগ খাল, সরাইল -নাচির নগর সড়কে খাল দখলের এক জ্বলন্ত প্রমাণ। এমন খাল নেই যে দখল হুয়ার বাকী নেই। এখন আবার দিন- দুপুরে সবার সামনে ঢাকা- সিলেট মহা সড়কের সংলগ্ন ইসলামাদ (গোগদ) এলাকায় খাল দখলের সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হুয়ার পর ও সরাইলে খাল দখল বন্ধ হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ নিরব।জানা যায়, জায়গা জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রভাবশালীরা প্রকাশ্যে খাল ভরাট করে দোকান বিক্রি করছেন।
উপজেলার রোড়ের সামনেই মাটি ভরাট করে খাল দখল চলছে। প্রতিদিন ময়লা আবর্জনা ফেলে খাল দখল করায় পরিবেশ দূষণ ঘটছে। দূষিত হচ্ছে ভরাটের বাকী তাকা জল।
সরাইলে খাল ভরাটের ব্যপারে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন,এক সময় দেখা যাবে আমরা জলাবদ্ধতায় আটকে গেছি। তখন কর্তৃপক্ষ আমাদের কে পেলে চলে যাবে।এ বিষয়ে আরিফুল ইসলাম সুমন
বলেন,কর্তৃপক্ষ এখন খাল দখলমুক্ত করার খেয়ালে নেই। তাদের দরকার বেতনের বাইরে আলাদা ইনকাম। আর প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিদের তোষামোদি করা। সেদিন বিশ্বরোড মোড়ে যাত্রীবাহী বাসে আগুন লেগেছিল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একটু
পানির জন্য যা করেছিল, সেটি নিজের চোখে দেখলাম। অথচ মহাসড়কের পাশেই খাল; তবে অবৈধ দখল ও আবর্জনাতে ভরাট ছিল, খালে নেই পানি?সম্প্রতি সরাইল উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় উপজেলার ইসলামাবাদ (গোগদ)এলাকায় দিন- দুপুরে সরকারি খাল ভরাট নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার এক পর্যায়ে আইন শৃঙ্খলা সভার
উপদেষ্টা সরাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, দিন-দুপুরে মহাসড়কের পাশে ইসলামাবাদ( গোগদ) এলাকায় খাল দখল করে ভরাট করছে। এই খালের পাশে অনেক আবাদি জমি রয়েছে। যা খালের পানি দিয়ে জমি আবাদ করে কৃষক। ইসলামাবাদের এই গুরুত্বপূর্ণ খালটি উদ্ধার করতে আইন শৃঙ্খলা সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএনও) মোঃ আরিফুল হক মৃদুলকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএনও) মোঃ আরিফুল হক মৃদুল খাল ভরাটের সততা স্বীকার করে জানান,আমি অই খাল ভরাটের যায়গায় তহশিলদার কে পাঠিয়েছিলাম। তারা ডকুমেন্ট দেখে রিপোর্ট দিয়েছে এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের যায়গা। আমরা এই রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই সরকারি খাল উদ্ধারে'র অভিযান চলবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার দাস বলেন, সরকারি খাল দখল করে যারা মাটি দিয়ে ভরাট করেছেন এমন ১৪৭ জনের নাম যাচাই-বাছাই করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এই রিপোর্ট আসলে প্রশাসনের মাধ্যমে অচিরেই খাল দখল করেছে যারা' তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।