প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ২০:১৬
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি)’র ৪ সদস্য মাদক সেবন ও সরাসরি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে ডোপটেস্টে পজেটিভ হয়েছেন ১৭ সদস্য। বিএমপি’র সন্দেহভাজন সদস্যদের ডোপ টেস্ট প্রক্রিয়া শুরু হয় গত বছর অক্টোবরে। প্রতি মাসে দৈবচায়ন পদ্ধতিতে গত ১৫ মাসে মোট ৪৮জন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে ডোপ টেস্টে পজেটিভ হয়েছে ১৭জন সদস্য। এদের মধ্যে সরাসরি মাদক কেনা বেচায় জড়িত ৫জনকে মাদক সহ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের অভ্যন্তরীন নজরদারীতে ওই ১৭ জনের মধ্যে ৫ সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির সাথে জড়িত থাকার প্রমান পায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ৪জনকে চূড়ান্তভাবে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে। আরও কয়েক জনের নাম চাকুরীচ্যুতির তালিকায় রয়েছে।
বিএমপি’র দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ, বিতর্ক ও স্বচ্ছতা পুনরুদ্ধারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বিএমপি’র প্রত্যেক সদস্যকে ডোপ টেস্ট করানোর উদ্যোগ নেন। সাম্প্রতিকালে বরিশালে মাদকসহ বেশ কয়েকজন মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশের সদস্য আটক হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইমেজ সংকট দেখা দেয়। প্রশাসন যেখানে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স অবস্থান নিয়েছে, সেখানে তাদেরই সদস্যরা মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি একেবারেই বেমানান।
বিএমপি’র উপ-কমিশনার (সদর) আবু রায়হান মো. সালেহ জানান, গত ১৫ মাসে ডোপ টেস্টে পজেটিভ ১৭ সদস্যদের মধ্যে ইতিমধ্যে কনস্টেবল থেকে এএসআই পর্যায়ের ৪জনকে চূড়ান্তভাবে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া রিপোর্ট পজেটিভ আরও ৮ থেকে ১০ জন সদস্যকে চূড়ান্তভাবে চাকুরিচ্যুত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।