ভূরুঙ্গামারীতে স্বেচ্ছাশ্রমে নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
শামসুজ্জোহা সুজন , উপজেলা প্রতিনিধি, (ভূরুঙ্গামারী) কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৫৪ অপরাহ্ন
ভূরুঙ্গামারীতে স্বেচ্ছাশ্রমে নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা কালজানি নদীর ভাঙন ঠেকাতে স্বেচ্ছাশ্রমে বালু ভর্তি বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সরকারি দপ্তরের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার পরও তারা কোনো সহযোগিতা পায়নি।


গত দু’দিন ধরে এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের অর্থে প্লাস্টিকের বস্তা কিনে তাতে বালু ভরছেন। দীর্ঘ সময় ধরে ভাঙন অব্যাহত থাকায় ইতোমধ্যে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ও শতশত একর ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামান্য সহযোগিতা পেলে ভাঙন রোধ সম্ভব হবে, যা তাদের ঘরবাড়ি ও জমি রক্ষা করতে সাহায্য করবে।


শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গার বাসিন্দা মনছেদ আলী বলেন, "নদী ভাঙন ঠেকাতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই আমরা নিজেদের অর্থে বালু ভর্তি বস্তা কিনে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছি।"


স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন ইউসুফ জানান, "প্রায় তিন মাস ধরে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি এবং কয়েকশ একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। যদি ভাঙন রোধ না করা হয়, তাহলে শিলখুড়ি ইউনিয়নের মানচিত্র পাল্টে যাবে।"


এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, "দাপ্তরিক অনুমতি ও বরাদ্দ সংক্রান্ত কারণে ভাঙন কবলিত এলাকায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।"


ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন, যাতে তাদের ঘরবাড়ি এবং জমি রক্ষা করা যায়। এই অবস্থায় গ্রামবাসীদের স্বেচ্ছাশ্রমে উদ্যোগ তাদের সংকটময় পরিস্থিতির মাঝে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।