‘প্রেমিকা’কে হত্যার পর গণপিটুনি থেকে বাঁচতে ৯৯৯-এ ফোন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৫৩ অপরাহ্ন
‘প্রেমিকা’কে হত্যার পর গণপিটুনি থেকে বাঁচতে ৯৯৯-এ ফোন

রাজধানীর উত্তরখানে চানপাড়া এলাকায়  এক গৃহবধূকে (প্রেমিকা) হত্যার পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাশেদা নামের ৪০ বছর বয়সি ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে। সেখান থেকেই তার অভিযুক্ত খুনি ৪৭ বছর বয়সি হযরত আলীকে আটক করা হয়।


উত্তরখান থানা পুলিশ জানায়, নিহত নারীকে হজরত স্ত্রী বলে দাবি করলেও মূলত ওই নারীর সঙ্গে তার এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই নারী নিজের বাসা থেকে হজরতের চনপাড়ার বাসায় যান। হজরত ছাপড়াঘরের একটি কক্ষে একাই থাকতেন। হজরত ওই নারীকে বিয়ে করার কথা বলে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে হজরত বিয়ে করতে রাজি না হলে দুজনের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। 


একপর্যায়ে হজরত তাকে পানের ছেঁচুনি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে ওই নারী চিৎকার দিলে হজরত মসলা বাটার পাটা দিয়ে উপর্যুপরি মাথায় আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। টের পেয়ে প্রতিবেশীরা হজরতের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তিনি গণপিটুনি থেকে বাঁচতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ওই নারীকে হত্যা করার কথা জানান।


 এ সময় উত্তরখান থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল মজিদের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হজরতকে গ্রেপ্তার করেন। লাশ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠান।


ওসি আবদুল মজিদ বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, নিহত নারীকে হজরত স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। তবে ওই নারী প্রকৃতপক্ষে আরেকজনের স্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদে হজরত হত্যার কথা স্বীকার করে। 


ওসি আরও বলেন, হজরত পুলিশের কাছে দাবি করেন, এ পর্যন্ত ওই নারী তার জমানো পৌনে তিন লাখ টাকা নিয়ে গেছেন। হজরতের বিরুদ্ধে হত্যাসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে উত্তরখান থানায় মামলা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র: ইত্তেফাক