মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ডাসার সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমী এ্যান্ড উইমেন্স কলেজের প্রভাষক আবদুস সামাদ তালুকদার(হিসাব বিঞ্জান)কতৃক উক্ত কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিচার দাবি করে অধ্যক্ষের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেন শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়,মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার,ডাসার সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমী এ্যান্ড উইমেন্স কলেজের প্রভাষক আবদুস সামাদ তালুকদার(হিসাব বিঞ্জান)কতৃক উক্ত কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগ নিয়ে শ্লীলতাহানীর চেস্টা করেন।এ ঘটনায় প্রভাষকের বিচার দাবি করে,গত ০১/০৮/২২ইং তারিখে,সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমী এ্যান্ড উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানার কাছে উক্ত ঘটনার বিবরন দিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন শিক্ষার্থী।
ঘটনার দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও কোন বিচার পাননি শিক্ষার্থী। উল্টো কলেজের কম্পিউটর অপারেটর মোঃ হাফিজুর রহমানকে ঘটনার অপপ্রচার করেন বলে,প্রভাষকের বাসায় ডেকে চাকুরি হারানোর হুমকি দেন।পরবর্তিতে প্রভাষক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ডাসার থানায় সাধারন ডায়েরি করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মুঠোফোনে বলেন,আমি স্যারকে খুব শ্রদ্ধা করতাম। স্যার আমাকে একা প্রাইভেট পড়াতো। ওই দিন,আমাকে সে জরিয়ে ধরে এবং আমাকে শ্লীলতাহানীর চেস্টা করেন। অনেক কষ্টে নিজেকে রক্ষা করি। পড়ে সে আমার পায়ে ধরে বলে,এঘটনা তুমি কা্উকে বইল না, আমিও কাউকে বলবো না। আমি তোমার কলেজের সকল বিষয় সাহায্য করব।
অভিযুক্ত প্রভাষক আবদুস সামাদ তালুকদার বলেন, এ ঘটনা সত্যনয়, আমি তাকে একা প্রাইভেট পড়াতাম। অধ্যক্ষের কাছে যে অভিযোগ দিয়েছে, আমি তার উত্তর দিয়েছি। থানায় সাধারন ডায়েরি সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে,প্রভাষক বলেন, ওই মেয়ের সাথে হাফিজুর রহমানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।হাফিজ আমাকে হুমকি দিয়েছে,তাই আমি থানায় সাধারন ডায়েরি করেছি।
কলেজের অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা বলেন, এঘটনায় ওই শিক্ষার্থী আমার কাছে,ঘটনার বিবরন উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি প্রভাষককে উক্ত ঘটনার কারন দর্শনোর নোটিশ দিয়েছি।তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।