পিরোজপুরে শোক দিবস উপলক্ষে জেলা আ.লীগের সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৈয়দ বশির আহম্মেদ, উপজেলা প্রতিনিধি কাউখালি (পিরোজপুর)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৮ই আগস্ট ২০২২ ০৭:২১ অপরাহ্ন
পিরোজপুরে শোক দিবস উপলক্ষে জেলা আ.লীগের সভা

মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার-হাজার নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগের আলোচনা সভা। বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের শহীদ মিনার চত্ত্বরে জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে শোকদিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও মুষলধারে বৃষ্টির কারনে নেতা-কর্মীরা শহীদ মিনারের পাশ্ববর্তী জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অবস্থান নেন। বৃষ্টি না থামার কারণে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে শোক সভা শুরু হয়। এ সময় শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে পূর্ণহওয়ায় মিলনাতনের বাহিরে বৃষ্টিতে ভিজে হাজার-হাজার নেতৃ-কর্মী উপস্থিত হয় আলোচনা সভায়। 


শোক সভায় সভাপতিত্বে করেন পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ কে এম এ আউয়াল। এ সময় শোকসভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. কানাই লাল বিশ্বাস, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লায়লা পারভীন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. মোস্তফা কামাল, দপ্তর সম্পাদক শেখ ফিরোজ, পিরোজপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মল্লিক স্বপন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সিকদার মন্টু, পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাদউল্লাহ লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম মিরণ, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহম্মেদ রানা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইরতিজা হাসান রাজু সহ জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। 


শোক সভায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ কে এম এ আউয়াল বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ বাঙালি জাতি কখনও শোধ করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে একটাই উদ্দেশ্য ছিল এদেশকে পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্য বানানো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা নয় এটি রাষ্ট্র, সংবিধানকে হত্যা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কুশিলব ছিলেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর হত্যায় পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার আজো হয়নি। 


ইতিহাসের কাঠগড়ায় আমাদের দাড়াতে হবে এ বিচার না হলে। শেখ হাসিনার আমলে বিচার না হলে সে বিচার আর কোনদিন হবে না।সেদিন স্বাধীনতা বিরোধীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনা হয়। তাদের হাইকমিশনে চাকরি দেয়া হয়। খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রত্যেকটা পদক্ষেপে সহায়তা করেছেন। যারাই ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে তারা আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। ২১বার হত্যার মুখোমুখী হয়েও শেখ হাসিনা আজও দেশের মানুষের কথা ভাবেন।