সংবাদ প্রকাশে টনক নড়েছে পল্লী বিদ্যুতের; রাতেই ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক
শামসুজ্জোহা সুজন , উপজেলা প্রতিনিধি, (ভূরুঙ্গামারী) কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২রা মার্চ ২০২১ ০১:১৭ অপরাহ্ন
সংবাদ প্রকাশে টনক নড়েছে পল্লী বিদ্যুতের; রাতেই ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপন

জিরো ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীকে ১২শ’ টাকার বিদ্যুৎ বিল ধরিয়ে দেয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর টনক নড়েছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের। রাতেই তাঁরা  প্রতিস্থাপন করে দিয়েছে অভিযোগকারী গ্রাহকের ট্রান্সফরমার। 


উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের খাদেমুল হক শান্ত এন্ড ব্রাদার্স চাউল কলের জন্য একটি শিল্প সংযোগের আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংযোগ চালু করতে যায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।


সংযোগ চালুর সময় একটি ট্রান্সাফরমারে ত্রুটি দেখা দেয়। ওই সময় উপস্থিত ডিজিএম কাওসার আলী এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রান্সাফরমার প্রতিস্থাপন করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। ত্রুটিযুক্ত ট্রান্সাফরমারটি খুলে আনা হয়। উল্লেখ্য খাদেমুল হকের সংযোগের জন্য তিনটি ট্রান্সাফরমার সচল থাকা প্রয়োজন।


এরপর প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপন করা হয় নাই। গ্রাহক তাঁর চাউল কলে এক ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারেননি। ইতোমধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস তার নামে ১ হাজার ২০৩ টাকার বিদ্যুৎ বিল প্রেরণ করে। খাদেমুল হকের বিলের কপিতে দেখা যায় পূর্ববর্তী রিডিং এর ঘরে জিরো এবং বর্তমান রিডিং এর ঘরে জিরো রয়েছে। ব্যবহৃত ইউনিটের ঘরেও জিরো রয়েছে।


এরূপ একটি সংবাদ দেশের প্রথম সারির বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সহ অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশ হলে টনক নড়ে ভূরুঙ্গামারী পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের। তারা রাতেই ওই গ্রাহকের ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপন করে দেয়।


খাদেমুল হক এই প্রতিবেদককে জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন ট্রান্সাফরমার প্রতিস্থাপন করে দিয়ে গেছেন সেই সাথে অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।