বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর বলেছেন, ক্ষমতাসীনরা যখন সুবিধাজনক মনে করে, আমাদের লাগে বলে মনে করে, তখন বুকে টেনে নেয়। আবার যখন মন করে আমরা শত্রু, তখন মার দেয়। এ উদাহরণ আমরা গতকালও দেখেছি। রোকেয়া হলে ছাত্রলীগ নেত্রীরা আমাকে মেরেছে। গত ৩০ জুন লাইব্রেরির সামনে তারা আমাকে মেরেছিল। আজও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে আমি টিএসসিতে এসেছি, কিন্তু আমাকে তারা ধাওয়া দিয়েছে। তাদের মুখে মধু অন্তরে বিষ। তাদের বিশ্বাস করাটা খুব টাফ।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল হক বলেন, প্রতিটি পদেই কারচুপি হয়েছে। তবে আমার পাশ করা এই দুই পদে কম হয়েছে, এছাড়া অন্য পদের সবগুলোতেই পুরোপুরি ইঞ্জিনিয়ারিং কারচুপি হয়েছে। তাই আমি আবারও সব পদেই পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। কিন্তু ভিসির বাড়ির সামনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি শোভনের আশ্বাস এবং সৌজন্যমূলক আচরণে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরে ভিপি ও সমাজসেবা পদ ছাড়া অন্য সব পদেই নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন নুর। এরপর বিকালে টিএসসি মিলনায়তনে গিয়ে নুরকে অভিনন্দন জানান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। এ সময় একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে তারা কোলাকুলি করেন।
এ সময় শোভন বলেন, নুর আমার ছোট ভাই। সে আমার ছোট ভাই, বন্ধু। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে এই ফল মেনে নিতে হবে। আমি এই নির্বাচনের ফল সবাইকে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাই। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আমাদের সবার চাওয়া-পাওয়া নুরুল হক পূরণ করবে। আমি পারিনি কী হয়েছে, নুরুল হক পূরণ করবে। সে জন্য সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে, যেন স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ঠিক থাকে। প্রসঙ্গত, সোমবার (১১ মার্চ) অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন পান ৯ হাজার ১২৯ ভোট। ডাকসুর ২৫টি পদের মধ্যে ছাত্রলীগ সদস্যরা ২৩টি পদে জয়ী হয়েছেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।