জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে সেখানে তাকে কবে নেয়া হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশেই মহিলাদের একটি আলাদা কারাগার হচ্ছে। সেখানেই তাকে রাখা হবে বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম বলেন, প্রায় ৩০০ নারী বন্দীর জন্য একটি কারা কম্পাউন্ড তৈরি হচ্ছে। এর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেটা যেহেতু আলাদা জেল সেখানে আলাদা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থাকবে, আলাদা জেলার থাকবে আলাদা সুপার থাকবে।
তিনি বলেন, জেলের মধ্যে যেকোনো বন্দী থাকতে পারে। খালেদা জিয়া থাকবে কিংবা অন্য কেউ থাকবে না বিষয়টা এমন নয়। যেহেতু মহিলাদের একটা জেল হচ্ছে সেখানে উনাকে রাখা হতেই পারে। এখন যদি তাকে কাশিমপুরের মহিলা জেলে পাঠানো হয় তাকে কাশিমপুরও যেতে হতে পারে। ৩০০ জন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন জেলটির নির্মাণকাজ ২০১৮ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। তবে আট মাস পেরিয়ে গেলেও কাজ সম্পন্ন হয়নি। দ্রুত কাজ সম্পন্নের জন্য ফেব্রুয়ারিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সচিব জেলখানা পরিদর্শন করেন। এরপর থেকেই শোনা যাচ্ছিল খালেদাকে সরিয়ে নেয়ার গুঞ্জন। এছাড়াও পুরান ঢাকার কারাগারটিতে পুরান ঢাকাবাসীর জন্য বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত করার কাজটিও এখনো সম্পন্ন হয়নি খালেদার কারণে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণার দিন থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। আদালতের অনুমতি নিয়ে খালেদার সঙ্গে থাকছেন ফাতেমা বেগম (৩৫)। ফাতেমা দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়ার গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করছেন। কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে একই সেলে থাকছেন তিনি। অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দুইবার চিকিৎসা করানো হয়। সর্বশেষ গত রোববার দুপুরে তাকে বিএসএমএমইউতে নেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও সেখানে যেতে অনীহা প্রকাশ করায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।