ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের এক রেস্টুরেন্টে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ৪৭ জনের মধ্যে বক্তাই ছিলেন ৩৯ জন। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠান শুরু হবার কথা থাকলেও তা শুরু হয় রাত ৯টায়। চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। ৩৯ জন বক্তার মধ্যে ২ জন সাংবাদিকও ছিলেন। কেউ কেউ বক্তব্য দিয়েই চলে যান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরো হলে দর্শক অতিথি এবং সাংবাদিকসহ মানুষ ছিলেন ৪৭ জন। এর মধ্যে বক্তব্য দিয়েছেন ৩৯ জন। অতিথি হিসেবে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেছিলেন ১৭ জন। সাংবাদিক ছিলেন ৮ জন। দর্শকের বাকিরা ছিলেন আওয়ামী লীগের নানা অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফায়জুন্নেসা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদন আব্দুস সামাদ আজাদ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ সভাপতি আক্তার হোসেন। সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের শিক্ষক মারুফ মিয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য না দেওয়া ৮ জন দর্শকের একজন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের বক্তব্য বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।
তিনি আরও বলেন, এক বন্ধুর অনুরোধে এসেছিলাম এ বিষয়ে আলোচনা শুনবো বলে। এসে বিরক্ত হয়েছি। যারা বক্তব্য দিয়েছেন তাদের দু’একজন বাদে কারোই বক্তৃতা হয় না। বেশির ভাগই এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। সবার বক্তব্যে ঘুরে ফিরে সধারণের জানা কথাই এসেছে। যা সবাই জানে এই বক্তব্য দিয়ে লাভ কী? সঞ্চালক আব্দুস সামাদ অনুষ্ঠান শেষে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যাদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিতে পারি নাই তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।