প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৪০
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে ভারত দেশে ঢুকে পড়লে ১৯৭১ সালের ‘মিথ্যা বদনাম’ দূর হবে এবং প্রকৃত স্বাধীনতার যোদ্ধা হিসেবে নিজেদের প্রমাণের সুযোগ তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কারও সঙ্গে আপস করা হবে না এবং বাংলাদেশকে কেউ গ্রাস করতে পারবে না।
শনিবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশ আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের (কোবা) উদ্যোগে আয়োজিত এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে জামায়াতের সমর্থকসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। তাহের বলেন আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো কম্প্রোমাইজ হবে না।
তিনি বলেন অনেকেই বলেন জামায়াত ক্ষমতায় এলে ভারত ঢুকে পড়বে, আমি বরং চাই তারা ঢুকুক। কারণ ঢুকলেই ১৯৭১ সালের সেই বদনাম মুছে যাবে। তখন আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার যোদ্ধা হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে পারব। এই সময় অন্তত ৫০ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ করবে বলে তিনি দাবি করেন।
তাহের আরও বলেন এই ৫০ লাখ যুবকের এক ভাগ গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেবে আর অন্য অংশ বিস্তৃত এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। তখন রিজিয়নজুড়ে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হবে। তিনি বলেন রাসূল (সা.)-এর গাজওয়া সম্পর্কিত যে হাদিস আছে সেটির বাস্তবায়নের মহাপরিকল্পনা করা হবে।
তিনি দাবি করেন আওয়ামী লীগ ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না বরং সহযোগিতা করবে। অন্য বড় দলও সহযোগিতা করবে না এবং যুদ্ধ করার মতো সংগঠিত শক্তি তাদের নেই। ফলে সংগঠিত শক্তি হিসেবে জামায়াত উঠে আসবে এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
তাহেরের মতে তখন বাংলাদেশকে কেউ গ্রাস করতে পারবে না। তিনি বলেন ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জামায়াত দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপসহীন থাকবে।
অনুষ্ঠানে তার এসব মন্তব্যে উপস্থিত শ্রোতারা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানালেও প্রবাসী বাংলাদেশিদের একাংশ এতে সমর্থন জানায়। তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনা শুরু হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন এই বক্তব্য জামায়াতের রাজনৈতিক অবস্থানকে ঘিরে নতুন বিতর্ক তৈরি করবে। তারা বলছেন এ ধরনের মন্তব্য বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও প্রবাসী সম্প্রদায়ের ভাবমূর্তিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।