প্রকাশ: ৯ জুন ২০২৫, ১১:১৮
রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩৩৯ ফ্লাইটে করে তিনি থাইল্যান্ড থেকে ঢাকায় ফেরেন। বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাকে হুইলচেয়ারে করে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাত ১টা ৪৫ মিনিটে আবদুল হামিদ ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যান এবং প্রায় এক ঘণ্টা পর রাত পৌনে ৩টার দিকে তার ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। পরে রাত ৩টার দিকে তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। পুরো সময়জুড়ে তাকে ঘিরে ছিলো নিরাপত্তার বলয় এবং তৎপর ছিল ইমিগ্রেশন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ গণমাধ্যমকে জানান, আবদুল হামিদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি নিরাপদে বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন।
এর আগে গত ৮ মে গভীর রাতে থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩৪০ ফ্লাইটে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ব্যাংকক যান আবদুল হামিদ। তার বিদেশ গমন ও দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিশেষ করে একটি হত্যা মামলার প্রেক্ষাপটে তার দেশত্যাগ নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়।
চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় আবদুল হামিদসহ কয়েকজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আসামিদের তালিকায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগের প্রক্রিয়া নিয়ে তখন প্রশ্ন ওঠে এবং ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় অবহেলার অভিযোগে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অভিযুক্তরা হলেন ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহসিনা আরিফ, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আজহারুল ইসলাম এবং এসবির এটিএসআই মো. সোলায়মান।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের মার্চে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন আবদুল হামিদ। পরবর্তীতে তিনি দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব থেকে অবসর নেন তিনি এবং তার স্থলাভিষিক্ত হন মো. সাহাবুদ্দিন।