আত্রাইয়ে পানিতে ডুবলো বিকল্প রাস্তা, নৌকা-ই একমাত্র ভরসা স্থানীয়দের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই প্রতিনিধি, নওগা:
প্রকাশিত: শনিবার ১০ই আগস্ট ২০২৪ ০৯:৩৪ অপরাহ্ন
আত্রাইয়ে পানিতে ডুবলো বিকল্প রাস্তা, নৌকা-ই একমাত্র ভরসা স্থানীয়দের

নওগাঁর আত্রাইয়ে নির্মাণাধীন ব্রিজের বিকল্প রাস্তাটি গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ফলে ওই এলাকার আশপাশের কোমলমতি শিশু-কিশোরসহ সকল বয়সের হাজার হাজার মানুষ চলাচলের ক্ষেত্রে তাদের এখন নৌকায় একমাত্র নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

 

জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর-শাহাগোলা পাকা সড়কের তারাটিয়া নামক স্থানে রতন ডারার (খাল) উপর দীর্ঘ দিন যাবৎ একটি ব্রিজ ছিল। ব্রিজটি জরাজীর্ণ হওয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) হতে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হয়। সে অনুযায়ী প্রায় তিন মাস পূর্বে ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়। এদিকে ব্রিজ ভাঙার পর জনসাধারণের চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তা এবং ডারার উপর একটি কাঠের সাঁকো তৈরি করা হয়। সাঁকোটি খুবই নিচু করে তৈরি করায় সম্প্রতি ডারার পানি বৃদ্ধি পেতে না পেতেই সাঁকোটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। ফলে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া, শ্রীরামপুর, কয়সা, তারাটিয়া বড়ডাঙ্গা, ছোটডাঙ্গাসহ বেশ কয়েক গ্রামের লোকজনকে শাহাগােলা হয়ে উপজেলা ও জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের জন্য এ সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। ফলে এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়া সত্বেও বিকল্প রাস্তার সাঁকোটি অপরিকল্পিতভাবে নিচু করে তৈরি করায় এলাকার জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।


এ বিষয়ে শ্রীরামপুর গ্রামের নাইম ইসলাম, কয়সা গ্রামের আব্দুল বারিকসহ অনেকেই বলেন, ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে বিকল্প রাস্তাটি অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করায় ডারার পানি বৃদ্ধি পেতে না পেতেই রাস্তাটি ডুবে গেছে। রাস্তাটি ডুবে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।


এ বিষয়ে শাহাগোলা ইউনিয়নেরে মহিলা ইউপি সদস্য শেখ শাউন বলেন, জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইমরান খান ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সাথে কথা বলে ওই স্থানে একটি নৌকার ব্যবস্থা করেছিলাম কিন্তু নৌকাটি যে অচলঅবস্থা হয়ে আছে তা আমার জানা ছিলো না। দ্রুত নৌকাটি সংস্কার করার কথাও তিনি বলেন।


উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইমরান খান বলেন, বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিকল্প রাস্তাটি ডুবে গেছে। সেখানে নৌকা দিয়ে যাত্রী পারাপারের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের মাধ্যমে একটা নৌকা ব্যবস্থা করা হয়েছে কিন্তু নৌকাটা যে নষ্ট অবস্থায় পরে আছে তা আমার জানা ছিলো না। তিনি আরো বলেন, পানি কমে গেলে উঁচু করে রাস্তা এবং সাঁকো তৈরি করা হবে।