ঝালকাঠি চেম্বার সভাপতির ওপর হামলা: বিএনপি নেতাকে শোকজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো. নাঈম হাসান ঈমন, জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৬শে ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:২৩ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি চেম্বার সভাপতির ওপর হামলা: বিএনপি নেতাকে শোকজ

ঝালকাঠিতে চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম তালুকদারকে আটক, মারধর এবং টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির নেতারা। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করেন দলের ক্লিন ইমেজের নেতা-কর্মীরা। ঘটনার পর জেলা বিএনপি অভিযুক্ত দুই নেতাকে শোকজ করেছে।


জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিশে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান তাপু এবং সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আজম খানকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।


ঘটনার বিবরণ

৩ ডিসেম্বর দুপুরে ঝালকাঠি শহরের পূবালী ব্যাংকের নিচে মনিরুল ইসলাম তালুকদার ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম জুয়েলকে বিএনপি কর্মীরা আটক করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচে নামার পরপরই বিএনপি নেতা-কর্মীরা মনিরুলকে চর, লাথি ও ঘুষি দিয়ে লাঞ্ছিত করেন এবং তার সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেন। হামলার পর তাকে একটি দোকানে আটকে রাখা হয়।


জহিরুল ইসলাম জুয়েল জানান, তারা অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিকদের বেতনের টাকা তুলতে ব্যাংকে যান। কিন্তু বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের দ্বারা আক্রান্ত হন।


বিএনপির অবস্থান

পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান তাপু নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি দেখেছি, বিএনপির অন্য একটি গ্রুপ টাকা ছিনিয়ে মনিরুলকে পালাতে সাহায্য করেছে। সিসি ফুটেজে আমার কোনো উপস্থিতি নেই। আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”


এ ঘটনার জন্য ঝালকাঠি বিএনপির ছয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। জেলা বিএনপি অভিযুক্তদের শোকজ করেছে এবং তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।


তালুকদারের বক্তব্য

মনিরুল ইসলাম তালুকদার দাবি করেন, তার রাজনীতি বা সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি কখনো প্রতিহিংসার শিকার হননি। বরং বিএনপির নেতাকর্মীদের সাহায্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, আনিচুর রহমান তাপু অতীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আঁতাত করে সুবিধা নিয়েছেন।


দলীয় পদক্ষেপ

জেলা বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল জানান, “জেলা বিএনপি তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”