পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে নওগাঁয় ৯ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে নওগাঁ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর থেকে পুলিশ বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কাজ করছে এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করছে না। তারা দাবি করেন, "যা চাচ্ছে রাজনৈতিক দল, পুলিশ সেটিই করছে। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছে না পুলিশ," বলেন আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী। তিনি আরও বলেন, "আমরা মনে করেছিলাম পুলিশ মানুষদের পাশে দাঁড়াবে, কিন্তু তা হয়নি। এখনও নওগাঁতে চাঁদাবাজি চলছেই এবং থানায় মামলা করতে গেলে রেফারেন্স ছাড়া কোনো কিছুই গ্রহণ করা হয় না।"
শিক্ষার্থীরা এ সময় তাদের ৯ দফা দাবির মধ্যে পুলিশের ঘুষ গ্রহণের সংস্কৃতি বন্ধ করার দাবি জানান। আন্দোলনের আরেক নেতা আরমান হোসেন বলেন, "জুলাই বিপ্লবের সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনীরা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছিল, কিন্তু পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা দেখেছি, পুলিশ এখনো ঘুষ নিচ্ছে।"
পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে বলেন, "তাদের দাবিগুলো আমি শুনেছি এবং যথাযথভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবাই মিলে একসাথে কাজ করলে দেশের স্বাধীনতার সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবে।"
শিক্ষার্থীরা তাদের ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য পুলিশ সুপারের কাছে এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দেন। তারা হুঁশিয়ারি দেন, "যদি আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হয়, তবে নওগাঁর সব থানা ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি পালিত হবে।"
অবশেষে, পুলিশ সুপারের আশ্বাসের পর শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেন। তবে, তাদের দাবির প্রতি প্রশাসনের সঠিক পদক্ষেপের অপেক্ষা করছে পুরো নওগাঁ জেলা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।