রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসের চাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেলের ক্ষতিপূরণের রায় পিছিয়ে বৃহস্পতিবার ধার্য করা হয়েছে।বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসের চাপায় রাসেলের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।পরে গ্রিনলাইনের বাস এবং তার চালককে পুলিশ আটক করে।
পুলিশ সে সময় জানিয়েছিল, রাসেল একটি প্রাইভেটকার চালাচ্ছিলেন।তার গাড়িতে বাসটি ধাক্কা দিলে প্রতিবাদ জানাতে বাসটি থামাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাসটি তার উপর দিয়েই চালিয়ে দেন চালক।এতে রাসেলের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।পা হারানো রাসেল সরকারের বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। গাইবান্ধার পলাশবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রাসেল রাজধানীর আদাবর এলাকার সুনিবিড় হাউজিংয়ে থেকে স্থানীয় একটি ‘রেন্ট-এ-কার’ প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেটকার চালাতেন।
রাসেলের বাম পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় গাইবান্ধার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি রিট আবেদন করেন।এই রিট আবেদনে হাইকোর্ট ওই বছরের ১৪ মে রুল জারি করেন। রুলে কেন রাসেলকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
পরে এক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এক আদেশে রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেন। প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা করে দিতে বলা হয়।এই নির্দেশের পর এ পর্যন্ত সাড়ে ১৩ লাখ টাকা দিয়েছে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ।গত ৫ মার্চ এই রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।