ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মাদারটেক আব্দুল আজিজ স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে লাঞ্চিত করে তিন সাংবাদিককে বের করে দিয়েছে নৌকার কর্মীরা। শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দৈনিক নয়াদিগন্তের স্টাফ রিপোর্টার শামছুল ইসলাম, ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার ফারুক হোসেন ও জাহিদুল ইসলামের নির্বাচন কমিশন থেকে দেওয়া পরিচয়পত্র কেড়ে নিয়ে তাদের মোবাইলের সব তথ্য মুছে ফেলে তারা।
দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মাহবুব হোসেনের সামনেই লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটলেও দুর্বৃত্তদের নিবৃত না করে উল্টো তাদের পক্ষে অবস্থান নেন।
সকাল ১১টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মাদারটেক আব্দুল আজিজ স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় বাইরে গেট লাগিয়ে কেন্দ্রের ভেতরে শত শত নৌকার সমর্থক অবস্থান করছে। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী অভিযোগ, পোলিং অফিসাররা ভোটারদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের বুথ থেকে বের করে দিয়ে গোপন বুথে প্রবেশ করে নৌকার বাটনে চাপ দিয়ে ভোট দিচ্ছে নৌকার কর্মীরা।
পরে ঐ বুথে গিয়ে পোলিং এজেন্ট শিউলি জানান, স্থানীয় পুলিশের লোকজন এসে নৌকায় ভোট দিতে বলে গেছে। কোনো সমস্যা করলে পরে দেখে নেওয়া হবে বলে হুমকিও দিয়ে গেছে। এই সুযোগে নৌকার সমর্থকরা ভোটারদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের ভোটকক্ষ থেকে বের করে দিয়ে গোপন কক্ষে গিয়ে ভোট দিচ্ছে। পোলিং এজেন্টের এমন অভিযোগের বিষয়ে নীরবতা পালন করেন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার তাহমিনা বেগম।
এ ঘটনা প্রিজাইডিং অফিসার মফিজুল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমি মাত্র অভিযোগ পেলাম। আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।
এরপরপরই ভোটকেন্দ্রে হট্রগোলের সৃষ্টি হলে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে থাকেন তিন সাংবাদিক। এসময় নৌকার সমর্থকরা তাদের গালিগালাজ করে মোবাইল কেড়ে নিয়ে সব তথ্য মুছে ফেলে। বিষয়টি দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক মাহবুব হোসেনের সামনে ঘটলেও তিনি সন্ত্রাসীদের নিবৃত না করে উপরন্তু সাংবাদিকরা কেন ভিডিও করলেন বলে প্রশ্ন করেন। কেন্দ্রে কোনো বিশৃঙ্খলার ভিডিও ধারণে নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি সাংবাদিককে নিরাপদে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।