নওগাঁয় ২ দিন ধরে সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
রিফাত হোসাইন সবুজ, জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৯শে নভেম্বর ২০১৯ ০৩:১৩ অপরাহ্ন
নওগাঁয় ২ দিন ধরে সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ

নওগাঁয় অভ্যন্তরীন সকল রুটে গত দুইদিন থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প হিসেবে জরুরি প্রয়োজনে যাত্রীরা সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সায় যেতে বাধ্য হচ্ছেন। বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবীতে জেলার বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে জেলার ১১টি উপজেলার সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তীতে পড়েছে যাত্রীরা। ভোগান্তী নিরসনে দ্রুত প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন সচেতনরা।

জানা গেছে, ফিটনে বিহীন বা মেয়াদ উত্তীর্ণ মোটরযান, মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্যাক্স টোকেন ব্যবহার, মোটরযান কর্তৃপক্ষের অনুমোতি ব্যতিত কোনরুপ আকার পরিবর্তন এসব বিষয় বাস মালিকরা দেখবেন। কিন্ত মালিকদের বার বার বলা হলেও অনেকটা বিলম্ব করে থাকেন। একারণে চালকদের মামলা খেতে হয়। এছাড়া নতুন সড়ক আইন চালকদের জন্য খুবই কঠিন হয়ে গেছে। বিশেষ করে চালকদের জন্য ‘জামিন অযোগ্য’ বিষয়টি কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ আইন সংশোধনের জন্য চালকরা অঘোষিত ধর্মঘট পালন করছেন।

ধর্মঘটের কারণে অভ্যন্তরীন সকল রুটসহ নওগাঁ-রাজশাহী ও নওগাঁ-বগুড়া রুটে গত দুইদিন থেকে বাস চলাচর বন্ধ রয়েছে। ফলে অফিস, অদালত, ব্যাংক, স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন স্থানে আসা-যাওয়া মানুষদের ভোগান্তীতে পড়তে হয়েছে। আর এ সুযোগে সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার চালকরা বাড়েিত ভাড়া আদায় করছেন যাত্রীরা। অনেকটা বাধ্য হয়ে যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া দিয়ে কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

চালক শামিম হোসেন বলেন, নতুন সড়ক যে আইন টা চালু হয়েছে- আমার কাছে মনে হচ্ছে এটা একটা কালো আইন। এই আইন সংশোধন না হলে আমাদের পক্ষে গাড়ি চালানো সম্ভব না। আমাদের জন্য নতুন সড়ক আইনটি খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। দ্রুত আইনটি সংশোধন করার দাবী জানান তিনি। সরকার বলছেন- আইন সবার জন্য সমান। কিন্ত এ পর্যন্ত যত দূর্ঘটনা হয়েছে- কোন রিক্স, ভ্যান ও সিএনজি চালকরা জেল হাজতে নাই। অথচ বাস-ট্রাক্ট ও অন্যান্য চালকরা বছরের পর বছর জেল হাজতে। আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। তার মানে এই নয়-দূর্ঘটনার পর চালককে সারাজীবন হাজতে থাকবে। 

নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনে চালকরা অবরোধ করেছেন। আমাদের পক্ষ থেকে চালকদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু তাদের একটাই দাবী নতুন আইন সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ ধর্মঘট অব্যহৃত থাকবে বলে তারার জানায়। 

তিনি বলেন, চালতরা বাস জমা দিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছে। আগামী ২১/২২ নভেম্বর ফেডারেশনের সাথে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।

নওগাঁ জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক শফিকুল আলম বলেন, মোটর শ্রমিকরা অঘোষিত ভাবে ধর্মঘট পালন করছেন। নতুন আইনে ৫ বছর কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও উভয়দন্ডে দন্ডিত এবং জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। এ কারনে তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে গাড়ী না চলিয়ে ধর্মঘট পালন করছেন। তবে গাড়ীর যাবতীয় কাগজপত্র সঠিক রাখতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে থাকি।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব