স্বচ্ছ এবং মানসম্পন্ন বাস্তবায়নের স্বার্থে একই ঠিকাদারকে বার বার কাজ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, টেন্ডার ডকুমেন্ট এমনভাবে তৈরি করা যাবে না-যাতে বড় বড় প্রতিষ্ঠানই বারবার কাজ পায়। ছোট এবং অন্যান্য কোম্পানিকেও কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন একটু সহজ করতে হবে, যাতে নতুনরাও কাজ পায়, প্রতিযোগিতা হয়। তবে কাজ জানে না এমন কাউকে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া যাবে না।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক ) সভায় এসব নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে প্রেসব্রিফিংয়ে প্রধানন্ত্রীর এই নির্দেশনা তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সভায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রকল্পসহ ৬টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন সহজ করার কাজ চলছে। এটা হয়ে গেলে নতুন নতুন প্রতিযোগিতা হবে এবং নতুন ঠিকাদাররাও কাজের সুযোগ পাবেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগ্রহ নিয়ে প্রায়ই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়, দালান-কোঠা নির্মাণ করা হয়। তারপরে আর বাকি কাজ হয় না। হয় জনবল নাই, নয় যন্ত্রবল নাই। যে আগ্রহ নিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় একই আগ্রহ নিয়ে বাকি কাজ শেষ করতে হবে। যাতে জনগণ তাদের প্রাপ্য সেবা পায়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই পর্যবেক্ষণ শতভাগ সত্য। নিজের এলাকার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, তার এলাকায়ও এ রকম কিছু স্থাপনা আছে। তড়িঘড়ি করে স্থাপনা কাজ শেষ করা হয়েছে, তারপরে আর বাকি কাজ শেষ করা হচ্ছে না।
সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। নতুন সড়ক নির্মাণের চেয়ে সড়ক মেরামত, মান-উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে সাবধানতার সঙ্গে সড়ক নির্মাণ করতে হবে। অনেক সড়ক হয়ে গেছে। নতুন সড়ক প্রকল্প নেয়ার আগে পুরনোগুলোকে চার লেন করা যেতে পারে। মানসম্মত বাস্তবায়নের কথা আবারও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী যাতে সামান্য বৃস্টিতে ভেঙ্গে না যায়। এজন্য এখন থেকে সড়কের উন্নয়ন ও মেইনটেন্যান্সের দিকে মনোযোগ বাড়ানো হবে।
ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণেও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, গ্রামে-গঞ্জে অসংখ্য সেতু হচ্ছে। এতে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। নদীগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে, সেতু নির্মাণ করলে পানি প্রবাহে বাধাপ্রাপ্ত হয়। মূল্যস্ফীতি কমেছে: ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, গেল অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ম্ফীতি কমেছে। পেয়াজের দাম বেশি থাকলেও অক্টোবরে মূল্যস্ম্ফীতি শুন্য দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। হার দাড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।