রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে আনা অনুদানের অধিকাংশ অর্থ বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) নিজেদের খরচে ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রলায়ের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য আনা অর্থের ২৫ শতাংশ হয়তো তাদের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। বাকি ৭৫ শতাংশই এনজিও কর্মীরা নিজেদের থাকা-খাওয়ার কাজে ব্যবহার করেছেন। বুধবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রলায়ের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি কিছু এনজিও আছে যারা রোহিঙ্গা নিয়ে কাজ করছে। আমাদের গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, তারা অনেকে ইল মোটিভ (অসৎ উদ্দেশ্য) নিয়ে কাজ করে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের হোটেল ভাড়া বাবদ ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড়’শ কোটি টাকা এবং ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছে আট কোটি টাকার উপরে। এটা দু:খজনক। আমরা গোয়েন্দা সংস্থাকে বলেছি বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখার জন্য। অনুসন্ধানে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোহিঙ্গাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী যে ব্যবস্থা নিয়েছেন ভাসানচরে নিতে, তা ত্বরান্বিত করতে আমরা কাজ করবো।
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের নিতে ইউএন-এর আপত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তাদের নিজস্ব বিষয়। আমাদের সরকার কোথায় রোহিঙ্গাদের রাখবে সেটা আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। তারা দেখবে রোহিঙ্গারা ভাল আছে কিনা। আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে একটি দিক থেকে আমরা খুবই সফল হয়েছি, সেটা হলো বাইরে থেকে মাদক আনা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সফলতার সঙ্গে দোষীদের আটক করতে পারছে। আমরা এবার গুরুত্ব দিচ্ছি দুটি বিষয়ে। একটি হলো যারা মাদক ব্যবহারকারী তাদেরকে আরও বেশি আইডেন্টিফাই করে গ্রেফতার করা। আরেকটি হলো মাদক নিরাময় কেন্দ্র আমাদের দেশে খুবই অপ্রতুল। এসব নিরাময় কেন্দ্র সরকারি ও বেসরকারিভাবে কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। যারা মাদকে আসক্ত ছিল তাদের নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে কিভাবে ভাল করা যায় সে বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যানজটের বিষয়ে কাজ করতে আমরা পরবর্তী মিটিং এ আমাদের দুই সিটির মেয়রদের রাখবো। কারণ তাদের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া ঢাকা শহরের জানজট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এ বিষয়ে অনেকগুলো কাজই সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব। তাই তাদের নিয়ে যৌথভাবে আমরা কাজ করবো। আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি আমরা নিশ্চয় আমরা মনে করি বিগত যেকোন সময়ের চেয়ে ভালো আছে। এটা যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য কাজ করা হবে। আর সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের উপর কঠোরভাবে দৃষ্টি রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনী কড়া নজরদারী রাখবেন। ইয়াবা সীমান্ত দিয়ে এখনো আসছে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভাপতি বলেন, যারা ইয়াবা আনে তারা খারাপ মানুষ। তারা চেষ্টা করবে আনতে, আমরা চেষ্টা করছি বাধা দিতে। আপনারা উদ্ধার কাজটা দেখুন, ব্যাপকভাবে ইয়াবাসহ পাচারকারীদের আটক করা হচ্ছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।