
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০১৯, ১৮:১৬

আজ ১২ মার্চ। নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার এক বছর। ৬৭ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু নিয়ে ২০১৮ সালের ১২ মার্চ দুপুরে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নামার সময় দুর্ঘটনায় পড়ে বিমানটি। দুর্ঘটনায় পাইলট ক্রুসহ মোট ৫১ জন নিহত হন। ২০ জন প্রাণে বেঁচে গেলেও তাদের অনেকের আঘাত ছিল গুরুতর। আহতদের এখনো তাড়া করে সেই দুর্বিষহ স্মৃতি। এই দুর্ঘটনা বাংলাদেশি প্লেনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। ওই দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের ২৭ জন, নেপালের ২৩ জন ও চীনের একজন নাগিরকসহ মোট ৫১ জন নিহত হন। আর আহতদের মধ্যে মালদ্বীপের একজন, নেপালের ১০ জন ও বাংলাদেশর ৯ জন। ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান ছিলেন ওই ফ্লাইটের পাইলটের দায়িত্বে। তার সঙ্গে কো-পাইলট হিসেবে ছিলেন পৃথুলা রশিদ। পাইলট, ক্রু ও যাত্রী মিলে ৫১ নিহত হন।
ওই ঘটনার পর নেপালের তদন্ত কমিটি কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার এ বিমান দুর্ঘটনার জন্য পাইলটের ভুল সিদ্ধান্ত এবং আচরণকে দায়ী করে। নেপালের তদন্তে বলা হয়, পাইলট ককপিটে বসে ধূমপান করছিলেন। দুর্ঘটনার আগে ‘মানসিকভাবে বিপর্যস্ত’ অবস্থায় ছিলেন ফ্লাইটে থাকা পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান। ঘটনার সময় পরিস্থিতি অনুযায়ী তিনি ‘সাড়া’ দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। নেপাল সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির এ রিপোর্ট শুরু থেকেই প্রত্যাখ্যান করেছেন বাংলাদেশি তদন্তকারী ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ। তিনি বলেন, এ রিপোর্টে নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারের ভুল এবং ব্যর্থতাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার আগে বিমানের ক্যাপ্টেন ও বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) মধ্যেকার কথোপকথন হয়। এতে এটিসির গাফিলতি ছিল। পাইলটদের সঙ্গে এটিসি টাওয়ারের ল্যান্ডিংয়ের আগের কথোপকথনে ছিল রানওয়ের কোন দিক থেকে পাইলট ল্যান্ড করবেন। পাইলটদের ভুল বার্তা দেওয়া হয়। এসব তথ্য তাদের তদন্ত রিপোর্টে বিবেচনায় আনা হয়নি।

জানা গেছে, বিমার আর্থিক ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করা হয়েছে ৩১ জনকে। এদের মধ্যে বাংলাদেশি নিহত ১৯ জনের পরিবার, আহত ৬ জনের পরিবার ও নেপালের আহত ৬ জনের পরিবার। নিহত যারা হয়েছেন, তাদের পরিবার আর্থিক ক্ষতিপূরণ পেয়েছে প্রায় ৪৩ লাখ টাকারও বেশি। আর আহতরা সেই অর্থের চেয়ে কিছুটা কম অর্থ পেয়েছেন। সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে সেনাকল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ফিরোজ হাসান বিভিন্ন সময়ে এসব চেক হস্তান্তর করেন।

ইনিউজ ৭১/এম.আর