ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনে বেগম রোকেয়া হলে ফের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার বিকাল ৩টা থেকে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ভোটগ্রহণ কক্ষের পেছনের আরেকটি কক্ষে ব্যালট পেপার বোঝাই ট্রাংক পাওয়া যায়। ট্রাংকভর্তি ব্যালট পেপার পাওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা তা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। রোকেয়া হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ফারহানা ফেরদৌসী বলেন, সোমবার বিকাল ৩টায় আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা দুই হাজার ৬০৭টি ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ কারণে বেলা সোয়া ১২টা থেকে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল মিলিয়ে এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৫৫ জন। এর মধ্যে রোকেয়া হলের ভোটার তিন হাজার ৭১৮ জন। সোমবার সকাল ৮টা থেকে সব হলে একসঙ্গে ভোট শুরুর কথা থাকলেও ব্যালটবাক্স সিলগালা করা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রভোস্টের বাদানুবাদ নিয়ে এক ঘণ্টা দেরিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বামজোট থেকে রোকেয়া হলের জিএস প্রার্থী মুনিরা দিলশাদ ইরা অভিযোগ করে বলেন, সকালে যখন ভোটগ্রহণ শুরু হয়, তখন আমরা ব্যালটবাক্স দেখতে চাইলেও দেখানো হয়নি। পরে আমরা বিক্ষোভ শুরু করলে ৯টার দিকে ব্যালটবাক্স দেখানো হয়। রোকেয়া হলে ব্যালটবাক্স থাকার কথা ৯টি। তবে আমাদের দেখানো হয়েছে ছয়টি।
তিনি বলেন, রোকেয়া হলে ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে টিভিরুমে। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের যেতে দেয়া হচ্ছে না। হলগেট থেকে বলা হচ্ছে- এখন ভেতরে যাওয়া যাবে না। ভোট দেরিতে শুরু করার কারণ সম্পর্কে রোকেয়া হলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন, কিছু জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে ভোট শুরু করা যায়নি। তবে কী ধরনের জটিলতা সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী আনিসুল হক অনিক অভিযোগ করে বলেন, প্রভোস্ট ম্যাডামকে বলার পর ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দেরি করার যৌক্তির কারণ দেখি না। এর কোনো ব্যাখ্যাও দেয়া হয়নি।
পরে দু-একজন সাংবাদিককে নিয়ে আমরা তার কাছে গেলে তিনি তাদের সামনে ব্যালটবাক্স সিলগালা করেন। ব্যালটবাক্স সিলগালা করার পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে বেলা ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা ভোটগ্রহণ কক্ষের পেছনে আরেকটি কক্ষে ব্যালট পেপার বোঝাই ট্রাংক পেলে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ফারহানা ফেরদৌসী বলেন, ভোটগ্রহণ কক্ষের পেছনে আমরা একটি কন্ট্রোলরুম করেছিলাম। সেখানে একটি ট্রাংকে ব্যালট পেপার রাখা ছিল। ছাত্রীরা অভিযোগ করছে, এই ব্যালট পেপারে সিল মারা ছিল আগে থেকে। কিন্তু আমি বলছি ব্যালট পেপারগুলোতে কোনো সিল মারা ছিল না। তারা ব্যালট পেপারগুলো নিয়ে যাওয়ায় আমরা ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছি।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।