বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ২১ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। রোববার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবদুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে ২০১৯ সালের হজযাত্রীদের পাসপোর্ট সেবা দিতে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের আগারগাঁওয়ের প্রধান কার্যালয়। রোববার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন) সেলিনা বানু।
নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর প্রসঙ্গে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম যুগান্তরকে জানান, পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের আজই (রোববার) ছিল শেষ দিন। মূলত দুটি কারণে নিবন্ধনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তা হল- পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতর থেকে হজযাত্রীদের পাসপোর্ট পেতে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি হজ এজেন্সি সর্বনিু ১০০ জন যাত্রী পাঠাতে পারবে মর্মে সম্প্রতি সৌদি সরকার নীতিগত সম্মতি দিয়েছে। সম্মতি প্রদানের চিঠিটি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় মন্ত্রণালয়। আবার ১০০ জন হলেই এককভাবে এজেন্সি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী পাঠাতে পারবে সিদ্ধান্ত হলে অনেক এজেন্সি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাত্রী পাঠানোর সুযোগ পাবে। মূলত এ দুটি কারণেই সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুই ধরনের প্যাকেজের মধ্যে প্যাকেজ-১ এ এক হাজার ৬৬২ ও প্যাকেজ-২ এ তিন হাজার ২৫ জনসহ মোট চার হাজার ৬৮৭ নিবন্ধিত হয়েছেন। নিবন্ধনের জন্য অবশিষ্ট আছেন দুই হাজার ১২৯ জন। নিবন্ধনের জন্য ভাউচার পেন্ডিং ৩১৫ জনের। ভেরিফিকেশনের জন্য পাসপোর্ট সাবমিট করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৯৩ জনের। অপরদিকে বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হয়েছেন ১৫ হাজার ২২০ জন। নিবন্ধনের জন্য অবশিষ্ট আছে এক লাখ এক হাজার ৫২৬। নিবন্ধনের জন্য ভাউচার পেন্ডিং আছে ১২ হাজার ৯২৩ জনের। ভেরিফিকেশনের জন্য পাসপোর্ট সাবমিট করা হয়েছে ৫৭ হাজার ২০ জনের। নিবন্ধনের জন্য যোগ্যতা অর্জনকারী এজেন্সির সংখ্যা ৪৭০টি।
পাসপোর্ট দেয়া হবে রাত ১০টা পর্যন্ত : এ বছরের হজযাত্রীদের পাসপোর্ট সেবা দিতে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের আগারগাঁওয়ের প্রধান কার্যালয়। এ প্রসঙ্গে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন) সেলিনা বানু বলেন, হজযাত্রীদের সবাই পাসপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত চলবে তাদের এই কার্যক্রম। একজন হজযাত্রীও যাতে পাসপোর্ট ছাড়া ফিরে না যান, এ কারণে আমরা রাত ১০টা পর্যন্ত পাসপোর্ট অধিদফতরের কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাসপোর্ট সংগ্রহের লাইনে সর্বশেষ ব্যক্তিটি থাকা পর্যন্ত দাফতরিক কাজ চলবে। কেউই পাসপোর্ট ছাড়া ফিরে যাবেন না।
গত ৬ মার্চ হজযাত্রীদের জরুরিভিত্তিতে পাসপোর্ট সরবরাহের নির্দেশের জন্য পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালককে অনুরোধ করে চিঠি দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। চিঠিতে হজ প্রাক-নিবন্ধন সনদ নিয়ে কোনো হজযাত্রী পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট সরবরাহের জন্য সব জেলা ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়। চলতি বছর হজ পালন করতে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাত হাজার ১৯৮ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।