ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন কভার করা নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর শুরু থেকেই অনেকটা কড়াকড়ি আরোপ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমন সিদ্ধান্তে সমালোচনাও হয়েছে কমবেশি। এরই মধ্যে সোমবার ভোটগ্রহণ শুরুর পর সরাসরি সম্প্রচারে থাকা টেলিভিশনের প্রতিবেদক এফ রহমান হলের প্রভোস্ট সাইফুল ইসলামের বাধার মুখে পড়েছেন। সকাল সোয়া দশটার দিকে যমুনা টেলিভিশনের প্রতিবেদক নূরুন্নবী সরকার ভোটারদের লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে লাইভ করছিলেন। ভোটগ্রহণে দীর্ঘসময় লাগছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। এর মধ্যে সেখানে আসেন এফ রহমান হলের প্রভোস্ট ও ঢাবির সাবেক প্রক্টর সাইফুল ইসলাম। তারসঙ্গে ছিলেন ওই হলের ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী। এই প্রার্থী সাংবাদিকের কাছে অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের কর্মীরা বুথের ভেতরে ও বাইরে অবস্থান করলেও তাকে বারবার নিচে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রভোস্টের কাছে প্রশ্ন করলে তিনি যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপে যান। বলেন, আপনি কি লাইভ করছেন? নো লাইভ। এখানে কোনো লাইভ করা যাবে না। বাইরে আসেন। সাংবাদিক তখন বলেন, বুথের মধ্যে যাওয়া নিষেধ। কিন্তু এখানে তো সম্প্রচারে সমস্যা নেই। কিন্তু তাতে কর্ণপাত না করে প্রভোস্ট তাকে বাইরে নিয়ে আসেন। বলেন, সাংবাদিকরা শুধু গেস্টরুম পর্যন্ত যেতে পারবে। এসময় সেখানে থাকা বেশ কয়েকজন সাংবাদিক তাদের সঙ্গে প্রভোস্ট দুর্ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করেন। যদিও প্রভোস্ট তা অস্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২৮ বছর পর সোমবার সকাল আটটায় ঢাবির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের মধ্যে ১৬টিতে সোমবার সকাল আটটায় ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। রোকেয়া হলে ভোটগ্রহণ শুরু হয় এক ঘণ্টা দেরিতে। আর বস্তাভর্তি ব্যালট উদ্ধারের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া কুয়েত মৈত্রী হলেও ভোট শুরু হয় সকাল ১১টার পর।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।