বরিশাল থেকে চুরি হওয়া ট্রাক ঢাকা গাজীপুরের টঙ্গী থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। ট্রাক চুরির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারের সূত্র এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চুরি হওয়া ট্রাক ও প্রাইভেট কারটি জব্দ করেছে পুলিশ। গত ৭ মার্চ প্রাইভেট কারটি রাজবাড়ী এবং ট্রাকটি উদ্ধার এবং কুখ্যাত ট্রাক চোর মনিরের সহযোগি বাবু মিয়াকে আটক করলেও মামলার মূল আসামী পলাতক রয়েছে। আজ শুক্রবার বিকাল ৫টায় বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় এক প্রেস বিফিংয়ে এ তথ্য জানান ডিবি (উত্তর) জাহাঙ্গীর মল্লিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মোঃ ইমরান আহম্মেদ, থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহমান মুকুল, সেকেন্ড অফিসার এসআই অরবিন্দ বিশ^াস ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বাশার।
সূত্রমতে, গত ৯ জানুয়ারী রাতে বরিশাল থেকে মোঃ হানিফ তালুকদারের একটি ট্রাকটি (ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৬৬৫২) কে বা কাহারা চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৪০ লাখ টাকা। এরপর ট্রাকের মালিক হানিফ তালুকদার বাদি হয়ে গত ১৪ জানুয়ারী এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১২। মামলা দায়েরের পর থেকেই চুরি যাওয়া ট্রাকটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। বিএমপির ডিসি (উত্তর) জাহাঙ্গীর মল্লিকের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী সোর্স ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানা যায়, উক্ত ট্রাকটি কুষ্টিয়া জেলঅর গদ্দান মিস্ত্রী রোড এলাকার মৃত আলীম উদ্দিন ওরফে সামসুদ্দিনের ছেলে কুখ্যাত আন্তঃজেলা ট্রাক চোর মোঃ মনির ওরফে লিখ ও কুদ্দুস (৫০) চুরি করেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী চুরির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারের উৎস ধরে ফরিদপুর রাজবাড়ি এলাকা থেকে ট্রাক চোর মনিরের সহযোগি (শ্যালক) বাবু মিয়াকে প্রাইভেট কার সহ (প্রোভক্স- ঢাকা মেট্রো-গ-১৯-৬৪৫৩) আটক করে।
চোর মনিরের শ্যালক আটককৃত বাবুর দেয়া তথ্য অনুযায়ী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বাশার ও এএসআই মনির গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানা পুলিশের সহযোগিতায় উক্ত থানাধীন কামারপাড়া ব্রীজের ঢাল থেকে চুরিকৃত ট্রাকটি উদ্ধার করে। আটককৃত বাবু মিয়া ফরিদপুরের রাজবাড়ি থঅনার লক্ষীপুর গ্রামের আঃ সোবাহান মিয়ার ছেলে। বর্তমানে উদ্ধারকৃত ট্রাক এবং আটককৃত প্রাইভেট কারটি এয়ারপোর্ট থানা হেফাজতে রয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো জানান, মামলার মূল আসামী মনির ওরফে লিখন ওরফে কুদ্দুসের নামে বিভিন্ন থানায় অন্তত ৩২টি চুরি মামলা রয়েছে। যার অধিকাংশই ট্রাক চুরি সংক্রান্ত। এছাড়া কুখ্যাত চোর মনির যখন যে এলাকায় চুরির পরিকল্পনা করে সেখানেই বিয়ে করে আবাস গড়ে তোলে। বর্তমানে তার ৭জন স্ত্রী রয়েছে বলেও জানা যায়। এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, মূল আসামী মনিরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।