প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা চান মনসুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৭ই মার্চ ২০১৯ ১১:১৬ অপরাহ্ন
প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা চান মনসুর

সংসদে এবং রাজনীতিতে চলার পথে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চাইলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদ। তিনি বলেন, আমি এখানে একা, তাই স্পিকার ও সংসদ নেতার সহযোগিতা চাই। সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েই জাতীয় সংসদে দেওয়া ভাষণে তিনি এই সহযোগিতা চান। এসময় তিনি বলেন, এই সংসদে সবাই একজোট থেকে নির্বাচিত। আমিই একমাত্র অন্য জোট থেকে নির্বাচিত। তবে যে বিশ্বাস নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছিলাম সেই জায়গা থেকে বিচ্যুত হইনি। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের উপর পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে দেওয়া বক্তব্যে একথা বলেন।   সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। আজ থেকে ৪৮ বছর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, গোপালগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জ নিয়ে সাড়ে ৭ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ৭ই মার্চে আমি জাতীয় সংসদে শপথ নিয়েছি। প্রথমদিনেই আমাকে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

এখানে যারা আছেন সব সংসদ সদস্য, আমার শ্রদ্ধেয় নেতাও রয়েছেন। তবে অপ্রিয় হলেও সত্য আজ সংসদে যারা আছেন তারা এক জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। আমিই বোধহয় একজন নীলমনি যে বর্তমানে আপাতত জোটের বাইরে অন্য জোট থেকে নির্বাচিত হয়েছি। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমি গত নির্বাচনে মৌলভাবাজার-২ আসনের কুলাউড়া মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে এখানে এসছি। সরকার প্রধান হিসেবে আজ সংসদ নেত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। সুলতান মনসুর আরও বলেন, আজ আমারও কিন্তু ওইখানে থাকার কথা ছিলো। যদি ওই জোটের পক্ষ হয়ে রাজনীতি করতাম। আজ থেকে ১৮ বছর আগে এই সংসদে আমার আসার সুযোগ হয়েছিলো। আপনি (স্পিকার) যে আসনে বসে আছেন ওই আসনে বসেছিলেন মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, আর ছিলেন আজকের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস রাজনীতির ছন্দপতনে হয়তো আল্লাহর ইচ্ছায় আমি একটি রাজনৈতিক কারাগারের মধ্যে ছিলাম। 

তিনি বলেন, গত ১৮ বছরে যদিও আমি এমপি ছিলাম না বা এইখানে ছিলাম না তবে আমি রাজনৈতিকভাবে চিন্তার দিক দিয়ে নিষ্ক্রিয় ছিলাম না। যদিও জোটগতভাবে বা রাজনৈতিকভাবে বর্তমানে হয়তো আমার নেতাদের সঙ্গে ওই জোটে নেই। কিন্তু আজ থেকে ৫২ বছর আগে যে বিশ্বাস নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছিলাম, সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকেই আমি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমে নির্বাচন করে এই জাতীয় সংসদে এসেছি। মহাজোটের বিরোধী যারা ছিলো তারাও আমাকে ভোট দিয়েছেন।  তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিলো বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে। আজ ৭ই মার্চে আমি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আমি নিজেকে আজ এইভাবে সম্মানিতবোধ করি, জাতির জনক বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন সেই ৭ই মার্চে শপথ নিতে পেরেছি।  স্পিকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আশা করবো আপনার (স্পিকার) কাছে মহাজোটের বিরোধী একজন অন্য জোটের ব্যক্তি হয়ে যাতে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি, জনগণের কথা বলতে পারি, বাংলার মানুষের কথা বলতে পারি, সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলতে পারি। এমনকি সংসদ নেত্রীও সেই বিষয়টি বিবেচনায় রাখবেন বলে মনে করি। 

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব