কালিকাপুরে সাহেব আলী হত্যার জের ধরে প্রতিপক্ষের প্রায় ২০টি বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।বুধবার ভোরবেলা নিহত সাহেবালির সমর্থকরা পাঁচখোলা ইউনিয়নের প্রায় ২০ টি বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এতে করে ওই এলাকায় পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। আনুসন্ধানের দেখা গেছে, হেমায়েত মোল্লা,আহমেদ মাতুব্বর,ইকবাল মাতুব্বর, সৌদি প্রবাসী সেলিম মাতুব্বর,ছরোয়ার বেপারী, জাহাঙ্গীর ব্যাপারী, দেলো মাতুব্বর,সৌদি প্রবাসী নজরুল মাতুব্বর, ওমান প্রবাসী মন্নান বেপারি, সৌদি প্রবাসী নজরুল মাতুব্বর, শহিদুল মাতুব্বর,রাজ্জাক মাতুব্বরের বাড়িসহ প্রায় ২০টি বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। হামলাকারীরা বাড়ির আসবাবপত্র, সোনা-গহনা,টাকা-পয়সা, গরু-ছাগল, পাটসহ ঘরের মূল্যবান মাল লুটে নেয়।এতে করে প্রতিটি বাড়ি ঘরের এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে থাকার অযোগ্যা।
আহমেদ মাতুব্বর এর স্ত্রী হেনা বেগম বলেন, আমাদের বাড়ির অনেকেই হত্যা মামলার আসামি করেছে, তাই বাড়িতে তেমন কেউ থাকেনা। সেই সুযোগে মতি মাস্টার, পান্নু মাতুব্বর, সান্টু মাতুব্বর, রিপন মাতুব্বর, ইলিয়াস, সুমন, সৃষ্টি, নিহত সাহেব আলীর ছেলেসহ প্রায় দুই শতাধিক লোক এসে এ হামলা ও লুটপাট চালায়। হামলা লুটপাটে আমাদের প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। তিনি আরো বলেন, হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের বিচার হোক, কিন্তু তারা যেভাবে লুটপাট চালাচ্ছে এর বিচার কি হবে? যাদের বাড়ি ঘরে হামলা লুটপাট হচ্ছে তারা সবাই তো আর আসামি না। এখান কার লোকজন এখন আতঙ্কিত কখন আবার তান্ডব শুরু হয়। আমরা প্রশাসনের সাহায্য চাই। দেলোয়ার খান বলেন , আমি লুটপাট ভাংচুর করতে নিষেধ করেছিলাম ওরা আমার কথা শোনেনি। মামলার তদন্তকারি অফিসার আঃ বারেক করিম বলেন আমারা ঘটনার সাথে সাথেই হামলার স্থানে এসে ১৯ রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। এখন পরিস্থিতি সাভাবিক রয়েছে এবং সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারায় রয়েছে।
উল্লেক্ষ --সাহেবালী মাতুব্বর গত বুধবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে পাঁচখোলা ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকা দিয়ে মাদারীপুর শহরে আসছিলেন। এসময় কতিপয় দুর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার উপরে হামলা চালায়। এ সময় তাকে কুপিয়ে গুরুতরভাবে জখম করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সাহেবালীর অবস্থার অবনতি হলে ঐদিন দুপুরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।শুক্রবার সকালে সাহেবালী মাতুব্বরের স্ত্রী আলেয়া বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজুর রহমান আকনকে প্রধান আসামী করে ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।