বিপুল অঙ্কের ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক প্রভাস চন্দ্র মল্লিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগ-২ এর এক নির্দেশনার মাধ্যমে তাকে চাকরিচ্যুত করার আদেশ জারি করা হয়। নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া অফিসের সাময়িক শাখার সাময়িক বরখাস্তকৃত মহাব্যবস্থাপক প্রভাষ চন্দ্র মল্লিকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক স্টাফ রেগুলেশন ২০০৩ এর ৪৪(১) ধারার আওতায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হলো। এর আগে ২০১৭ সালের অক্টোবরে বিভিন্ন ব্যাংক ও সহকর্মীদের থেকে ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া প্রভাষ চন্দ্র মল্লিককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই আদেশে বলা হয়েছিল, 'বগুড়া অফিসে কর্মরত মহাব্যবস্থাপক প্রভাষ চন্দ্র মল্লিককে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক স্টাফ রেগুলেশন ২০০৩ এর ৪৫(৫) ধারার আওতায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি অত্র ব্যাংকের প্রচলিত বিধি মোতাবেক জীবিকা নির্বাহ ভাতা প্রাপ্য হবেন।' জানা যায়, প্রভাস চন্দ্র মল্লিক ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। তার বিরুদ্ধে ১১টি ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও প্রভাব খাটিয়ে ৮২ লাখ টাকারও বেশি ঋণ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু ঋণ নেওয়াই নয়, সহকর্মীদের কাছ থেকে তিনি এক কোটি টাকারও বেশি ধার নিয়েছেন যা আর ফেরত দেননি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে, প্রতিষ্ঠানটির কোনো কর্মকর্তা যদি কোনো ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চান, তাহলে বাংলাদেশে ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু অভিযুক্ত এ কর্মকর্তা এ ধরনের কোনো অনুমতি নেননি। যে ১১টি ব্যাংক থেকে প্রভাস চন্দ্র মল্লিক ঋণ নিয়েছেন সেগুলো হচ্ছে- এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক এন্ড মার্কেন্টাইল ব্যাংক। বর্তমানে বগুড়ায় কর্মরত বাংলাদেশ ব্যাংকের এ কর্মকর্তা এসব ঋণের বেশিরভাগই নিয়েছেন ক্রেডিট কার্ড ও ব্যক্তিগত পরিচয়কে ব্যবহার করে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।