উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হয়েছেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাভলু। এখনও গেজেট হয়নি, শপথ হয়নি। তবু তিনি একটি ঘোড়ার পিঠে চড়ে টাকার মালা গলায় পরে সংবর্ধনা নিয়েছেন।এই সংবর্ধনার একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, লাভলু একটি লাল ঘোড়ার পিঠে চেপে বসে আছেন। তার গলায় টাকার ও ফুলের দুটি মালা ঝুলছে। তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আনন্দ-উল্লাস করছেন। উপজেলার চকরাজাপুর এলাকায় তাকে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, লায়েব উদ্দিন লাভলু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও এখনো কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশিত হয়নি। তাছাড়া ওই উপজেলার অন্য পদগুলোতে নির্বাচন হবে। লাভলুর যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থিতা হারিয়েছেন তিনি উচ্চ আদালতে প্রার্থিতা ফিরেও পেতে পারেন। কাজেই তিনি এ ধরনের সংবর্ধনা নিয়ে ঠিক করেননি।বাঘা পৌর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম জানান, উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন তারা জানতে পারেন, বাঘায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী লায়েব উদ্দিন লাভলুর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাই আনন্দে চরবাসী তাদের রেওয়াজ অনুযায়ী লাভলুকে এভাবে সংবর্ধনা দেয়।
জানতে চাইলে লায়েব উদ্দিন লাভলু বলেন, এটি আসলে তেমন কোনো সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর আমি চরবাসীর সঙ্গে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়েছিলাম। ওই সময় তারা টাকা ও ফুলের মালা পরিয়ে ঘোড়ায় চড়িয়ে দেয়। পাঁচ টাকা, দশ টাকা থেকে ১০০ টাকার নোটও ছিল।তিনি বলেন, প্রথমে আপত্তি করেছিলাম। আমি এই ধরনের বরণ অনুষ্ঠান বর্জন করলে তারা মনে দুঃখ পাবেন। চরবাসী আমাকে অহঙ্কারী ভাবতে পারেন বলে আমাকে জানানো হয়। তাই আমি টাকার মালা গলায় পরতে রাজি হই। তবে এটি তেমন কোনো বড় অনুষ্ঠান নয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।