বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাঙামাটির দুই উপজেলায় আ.লীগের জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:২৯ অপরাহ্ন
বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাঙামাটির দুই উপজেলায় আ.লীগের জয়

দ্বিতীয় পর্যায়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী না থাকায় লংগদু ও কাপ্তাই উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।রাঙামাটি রিটার্নি অফিসার এসএম শফি কামাল বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী না থাকায় লংগদুতে আব্দুল বারেক সরকার ও কাপ্তাই উপজেলায় মফিজুল ইসলামকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ হচ্ছে না।এ দুজনই এলাকার উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবেন উল্লেখ করে দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।লংগদু ও  কাপ্তাই এ দুই উপজেলা বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছিলেন। এরা ছিলেন লংগদুর তোফাজ্জল হোসেন ও কাপ্তাইয়ের দিলদার হোসেন।

কাপ্তাই উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক দিলদার হোসেন দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন করছেন না।লংগদু উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। তাই আমরা নির্বাচনে অংশ নিইনি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে লংগদুতে বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হবে না। এ ধরনের নির্বাচন আমি ব্যাক্তিগতভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি।তবে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ এটিকে খালি মাঠে গোল হিসেবে দেখছে না। দলটি বলছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল না। তারা সমঝোতা করে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিক আহমদ তালুকদার বলেন, এটি খালি মাঠে গোল নয়। দুই উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল। তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার কারণে এ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এটি খালি মাঠে গোল বলা হলে মানাবে না।রাঙামাটি বিএনপি সভাপতি শাহ আলম বলেন, এ নির্বাচন নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই।বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়া লংগদুর আব্দুল বারেক সরকার বলেন, শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে অন্য প্রার্থীরা প্রত্যাহার করায় আমাকে নির্বাচন করতে হল না। আমি পাহাড়ি বাঙালি সবাইকে নিয়ে এ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করব।কাপ্তাই উপজেলার মফিজুল আসলাম বলেন, আমি দলের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। তাই দল আমাকে সমর্থন দিয়েছে। এজন্য আমি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও জননেতা দীপংকর তালুকদারসহ দলের সবার কাছে কৃতজ্ঞা জানাচ্ছি। আমি এ এলাকার উন্নয়ন ও শান্তির জন্য কাজ করে যাব।