বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কমী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে ওয়ার্কার্স পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ আলমকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। দু’পক্ষের মধ্যে দেখা দেয় উত্তেজনা। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। ওইদিন দুপুরে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউএনওর কার্যালয়ে ফিরোজ আলম মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গেলে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা তাকে ইউএনওর কার্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তারা ইউএনওর কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
ওয়ার্কার্স পার্টির স্থানীয় একাধিক নেতা অভিযোগ করেন, ওয়ার্কার্স পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ আলম মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গেলে তাকে বাধা দেয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। এর প্রতিবাদে দফায় দফায় বিক্ষোভ করে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভের মুখে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকদের সরিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেয়ার সুযোগ করে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের এক সদস্যকেও লাঞ্ছিত করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় উত্তেজনা দেখা দেয়।
হট্টগোলের খবর পেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুজিত হাওলাদার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তার কার্যালয়ে গিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ফিরোজ আলমের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। এ সময় জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক সাবেক এমপি টিপু সুলতানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজী এমদাদুল হক দুলাল অভিযোগ অস্বীকার বলেন, এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বিমানবন্দর থানা পুলিশের ওসি আব্দুর রহমান মুকুল জানান, একটি পক্ষ মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে পুলিশের তৎপরতার কারণে তারা ব্যর্থ হয়।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।