প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমানের খাম খেয়ালীতে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করা হলনা ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলামের। এতে করে অনিশ্চিত শিক্ষা জীবনের মুখোমুখি হয়ে পড়েছেন ওই শিক্ষার্থী। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরি এস,এ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষকের এমন ঘটনায় হতবাগ বনে গেছেন স্কুলের শিক্ষার্র্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয়রা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে এক লিখিত অভিযোগে শিক্ষার্থী রাবিকুল জানায়, কালিশুরি এস,এ ইনস্টিটিউশন থেকে ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। ইংরেজী, সাধারন গনিত এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ে অকৃতকার্য হয়ে ২০১৯ সালে পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য যথারীতি ফরম পুরন করে। কিন্তু ৪ ফেব্রুয়ারী তাকে সরবারহ করা প্রবেশপত্রে পিতার নাম মিজানুর রহমানের পরিবর্তে ইছাহাক এবং মায়ের নাম মরিয়ম বেগমের পরিবর্তে আনিচা বেগম উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমানকে অবহিত করা হয়। তিনি প্রবেশপত্রের মুলকপি রেখে দিয়ে ভ’ল সংশোধনের জন্য ছয়’শ টাকা নিয়ে নেন। কিন্তু কোন প্রকার সংশোধন না করেই ত্রুটিপূর্ন ওই প্রবেশপত্র দিয়েই শিক্ষার্থী রাকিবুলকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে বলেন প্রধান শিক্ষক মাহাবুব। ইংরেজী ১ম পত্রের পরীক্ষায় অংশগ্রহন করলেও ইংরেজী দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে গেলে উত্তরপত্র কেড়ে নিয়ে রাকিবুলকে হল থেকে বের করে দেন তিনি। আর এ কারনে রাকিবুলের জীবন থেকে হারিয়ে গেল দুটি বছর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান দেশ রূপান্তরকে জানান, অফিস সহকারী কম্পিউটারের কাজ না জানায় শিক্ষক সুভাস চন্দ্রকে দিয়ে ফরম পুরনের কাজ করানো হয়েছে। এটি কম্পিউটারের ভ’ল। অফিস সহকারী লুৎফর রহমান বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, তাকে উপেক্ষা করে, না জানিয়ে অনলাইনে ফরম পুরনের কাজ করানো হয়েছে। অপর প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক মাহাবুব বলেন, আগামীতে রাকিবুলের ফরম পুরনসহ লেখাপড়ার সব দ্বায় দ্বায়িত্ব আমি নিব।রাকিবুলে পিতা মিজানুর রহমান জানান, রাবিকুল এখন পড়তে চাচ্ছেনা। দুটি বছর আমার ছেলের জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে এর দ্বায়ভার কে নেবে? ক্ষুদ্ধ বেশ কয়েকজন অবিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রদান শিক্ষককে ফরম পুরনের টাকা দেয়া পরেও ২০১৪ সালের পরীক্ষায় বিকাশ নামের এক ছাত্র অংশ নিতে না পেরে এখন চায়ের দোকান দিচ্ছে। তার খামখেয়ালির কারনে দুই ছাত্রীর অতœহত্যা করতে গিয়ে বেচে গেছে। এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে বলে তারা জানান।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক মাহাবুর রহমান বিদ্যালয় সংশ্লিস্ট দ্বায়িত্বশীলসহ পরিচালনা পর্ষদকে উপেক্ষা করে নিজ পছন্দ লোকজন নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কালিশুরি ডিগ্রি করেজের অধ্যক্ষ ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. নেছার উদ্দিন শিকদার বলেন, প্রবেশপত্রের ভূল সংশোধন করার সুযোগ ছিল। কাজেই রাকিবুলকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেয়া উচিত ছিল।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।