পরিবারের অবাধ্য সন্তান ছিল বিমান ছিনতাইকারী পলাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাখাওয়াত জামিল সৈকত (অতিথি লেখক)
প্রকাশিত: সোমবার ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৬ অপরাহ্ন
পরিবারের অবাধ্য সন্তান ছিল বিমান ছিনতাইকারী পলাশ

চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে কমান্ডো অভিযানে নিহত বিমান ‘ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী’ মাহাদীর (২৩) বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা গ্রামে। এলাকায় সে পলাশ নামেই পরিচিত ছিল। গ্রামের বাইরে নিজেকে মাহাদী নামে পরিচয় দিতো পলাশ। নিহত ওই যুবকের বাবার পিয়ার জাহানের সঙ্গে সোমবার দুপুরে কথা হয়। তিনি জানান, ‘‘পলাশ সোনারগাঁয়ের তাহেরপুর মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে সোনারগাঁ ডিগ্রি কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হয়। এরপর সে আর পড়াশোনা করেনি।’ পিয়ার জাহান আরও বলেন, ‘‘গত শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ছেলে (পলাশ) আমাকে জানায় যে, সে আর বাংলাদেশে থাকবে না। দুবাই চলে যাবে। এজন্য সে এয়ারপোর্টে দেখানোর জন্য আমার কাছ থেকে ৫০০ দিরহাম দাবি করে। আমি সেই টাকা জোগাড় করে দেই।’ পলাশকে পরিবারেরর অবাধ্য সন্তান বলে দাবি করেছেন তার বাবা। এর আগেও বিদেশে যাওয়ার কথা বলে সে অনেক টাকা নষ্ট করেছে। তাই ছেলের সঙ্গে তিনি ঠিকমতো কথা বলতেন না।

তিনি জানান, ‘গত ১০ মাস আগে চিত্রনায়িকা সিমলাকে নিয়ে সে বাড়িতে আসে। তখন সে সিমলাকে নিয়ে এলাকায় বেড়াতে এসেছে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু দেড় থেকে দুই মাস পর লোকজনের মাধ্যমে তাদের বিয়ে খবর জানতে পারি। এর ঠিক দেড় থেকে দুই মাস পরে পলাশ আবারও সিমলাকে নিয়ে বাড়ি আসে। তখন সে সিমলাকে সে বিয়ে করেছে বলে জানায়। প্রথমে না মানলেও পরবর্তীতে বিয়ে মেনে নেই এবং বউকে (সিমলা) বলি ছেলেকে ভালো করে তুলতে। এরপর পলাশের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ হতো না।’ এর আগেও পলাশ বগুড়াতে আরেকটি বিয়ে করে এবং সেখানে তার একটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এছাড়া, এলাকায় নারী কেলেঙ্কারির একটি ঘটনায় মামলাও হয়েছিল পলাশের নামে। সেই মামলায় ২০ দিন জেল খেটে সে জামিন পেয়েছিল বলেও জানান পিয়ার জাহান। তিনি বলেন, ‘গতরাত একটার দিকে সোনারগাঁ থানা পুলিশ আমাদের বাড়ি তল্লাশি করে। পরে আমি ও আমার স্ত্রীকে স্থানীয় এক মুরব্বির জিম্মায় রেখে যায় পুলিশ।’ তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে পলাশ ছোট। একমাত্র ছেলে হওয়ায় যা চাইতো তাই দেওয়ার চেষ্টা করতাম। কিন্তু ছোটবেলা থেকে সে অবাধ্য ছিল বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তার বাবা।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব