চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলে রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ একাধিক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া বহিরাগত তরুণীসহ এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাত ২টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হাটহাজারী থানা পুলিশের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাহজালাল ও সোহরাওয়ার্দী হলে একযোগে এ তল্লাশি অভিযান চালায়৷ এ সময় সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুম থেকে নিয়াজ আবেদিন পাঠান নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গে এক বহিরাগত তরুণী আটক করা হয়। নিয়াজ আবেদিন পাঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের পদার্থ বিভাগের ছাত্র ছিলেন। আটকের সময় কক্ষটি বাইরে থেকে তালা লাগানো ছিল এবং আটককৃত তরুণী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী।
এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী হল থেকে ভিএক্স গ্রুপের ১৪ ছাত্রলীগ কর্মীকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশ। এরা সবাই ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান বিপুলের অনুসারী বলে জানা গেছে। এ ছাড়া শাহজালাল হল থেকে চবি সিক্সটি নাইন গ্রুপের চার ছাত্রকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী থানা পুলিশ। এরা সবাই ছাত্রলীগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মনসুর আলমের অনুসারী বলে জানা গেছে। অভিযান পরিচালনার নেতৃত্বে ছিলেন হাটহাজারী সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম ও হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর।
অভিযান চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র ও হেলাল উদ্দিন আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী বলেন, পুলিশের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুটি হলে তল্লাশি চালিয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। অস্ত্রও পাওয়া গেছে। গত দুদিন ধরে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের এসব গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও উত্তেজনা চলছিল। এসব ঘটনায় ৯ জন আহত হওয়ার খবরের পর রাতেই এ অভিযান চালানো হয়।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।