চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাই চেষ্টাকারী যুবকের অস্ত্রসহ বিমানে প্রবেশ করাকে ‘বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না’ বলে মন্তব্য করেছেন সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম নাইম হাসান। রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঘটনার পর নাইম হাসান সাংবাদিকদদের বলেন, ‘আমরা তদন্ত করলে সবই চলে আসবে। আমরা তদন্ত করব। সিসিটিভি আছে, সেটি চেক করব। আমাদের মেশিনে সিসিটিভি আছে, সবগুলো চেক করবো।’ জানা যায়, বিমানযাত্রীদের দুই ধরনের তল্লাশির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীরা ইন্টারন্যাশনাল টার্মিনাল দিয়ে দুই দফা তল্লাশির পর বোর্ডিং ব্রিজ দিয়ে উড়োজাহাজে ঢুকতে পারেন। অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীদের এক দফা তল্লাশি করা হয়। পুরো তল্লাশির কাজটি করে থাকে এভসেক।
তল্লাশির পরও ওই যুবক কী করে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। এ বিষয়ে এম নাইম হাসান বলেন, এই মেশিনের ভেতর দিয়ে যদি নেইল কাটার, খেলনা পিস্তল, ছুরি ধরা পড়তে পারে, তাহলে এগুলো ধরা হবে না—জিনিসটা খুব বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। তদন্ত হোক তাহলে দেখা যাবে।’ নিরাপত্তা বিশ্লেষক এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘অনেক সময় ছিনতাইকারী খেলনা পিস্তল জাতীয় অস্ত্র নিয়ে ভয় দেখায়। অনেক সময় প্যাকেট দেখায়। আজ চট্টগ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে ওই ব্যক্তির অস্ত্র আছে কিনা, এখনো পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে না। অস্ত্রটি পরীক্ষা করা প্রয়োজন। যদি অস্ত্র নিয়ে বিমানের ভেতরে ঢুকে থাকে তাহলে নিরাপত্তার মারাত্মক ঘাটতি।’
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।