শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নে সৌদি প্রবাশী মোজাফর মীরের স্ত্রী পান্না (৪৫) ও তার মেয়ে মিতু(২৭)এর বিরুদ্ধে ক্রয়সূত্রে জমির মালিক টিটু বেপারির জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে জমির চারিপাশে থাকা বেড়া ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার (১৮ফ্রেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার সময় এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। নড়িয়া ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের কমলা বেগম (৫০) স্বামী ওহাব বেপারী এর কাছ থেকে ১২ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয়সূত্রে মালিক হন কামরুল হাসান টিটু বেপারী (৩৫)। যাহা ৭৯নং ডিঙ্গামানিক মৌজার বিআরএস খতিয়ান নং ১২৫৪ দাগ নং ১৭২৬,১৭২৭,১৭৩১ জমির ১২ শতাংশ সম্পত্তি। কিন্তু টাকা দিয়ে জায়গা ক্রয় করেও জায়গা ভোগ করতে পারছেন না এ অসহায় লোকটি। এ বিষয়ে কামরুল হাসান টিটু বেপারীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কমলা বেগম এর কাছ থেকে ১২ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় সূত্রে মালিক হই। যাহার চৌহদ্দি দেয়া আছে রাস্তার সাথে এ অনুযায়ী স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিগন জায়গা মেপে আমাকে জায়গা বুঝিয়ে দেন। আমার জায়গা আমি ভোগ করতে গেলে সৌদি প্রবাশী মোজাফফর মীর এর স্ত্রী ও তার মেয়ে দাবী করে এর ভিতর তাদের নাকি জায়গা রয়েছে। তাদের আমি আমার ক্রয় করা সম্পত্তির সঠিক কাগজ দেখালেও তারা জোর পূর্বক আমার জায়গা ভোগ করতে বাধা দেয়।
এতে করে আমি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের বিষয়টি জানালে তারা গত জানুয়ারী মাসে উভয় পক্ষের সম্মতি নিয়ে শালীশে বসে ঐ পক্ষের সম্মতি নিয়ে আমাকে সিদ্ধান্ত দেয় যে মোজাফফর মীরের কাছে আমার সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য, যাতে কোন আর সমস্যা না হয়। তাই মুরব্বীদের দেয়া রায় আমি মেনে নিয়ে আমি রাজী হলে সেখানে ৫০ হাজার টাকা বায়না করে মোজাফফর মীরের পরিবার। কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর তারা সম্পত্তি ক্রয় করতে না চেয়ে আমার কাছে বায়নার টাকা ফিরত চায় এবং আমার সম্পত্তি অন্যায়ভাবে ভোগ দখল করার জন্য সম্পত্তির উপর লাগানো গাছ কাটিয়া ফেলার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়ে জমির বিতর যে বেড়া দেয়া ছিলো তা ভেঙ্গে এবং কুপিয়ে নস্ট করে ফেলে তাতে আমার প্রায় ৬৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতে করে আমি নিরুপায় হয়ে সঠিক সমাধান পাওয়ার জন্য নড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ করেছি। এ ব্যাপারে দ্বিতীয় পক্ষ মোজাফফর মীর এর স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তাহার মেয়ে মিতু বেগম(২৭)এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বেড়া ভেঙে ফেলার কথা স্বীকার করে বলেন, টিটু বেপারী জমি কিনেছেন কমলা বেগমের কাছ থেকে, আমার বাবা কিনেছেন ফারুক খান ও খোকন খানের কাছ থেকে, এখানে দুই ভাইয়ের সম্পত্তি তাই দুই ভাই সমান ভাগ পাবে এখন টিটু বেপারী জোর পূর্বক সম্পত্তি রাস্তার সামনে দিয়ে নিয়ে আমাদের পেছন সাইট দিতে চায় আমরা এভাবে কেনো নিবো সমান ভাগ হলে লম্বায় ভাগ হবে তার কাগজপত্রে চৌহদ্দি রাস্তার সাথে সে ভূয়া বানিয়ে নিয়েছে এটা আমরা মানিনা। আর গত জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ স্থানীয় শালীশ শান্তুু চৌধুরী, মজনু মল্লিক,হাজী আলাউদ্দিন মাঝী,শাজাহান শিকদার সহ আরো শালীশগণ আমাদের জোর করে টিটুর সম্পত্তি ক্রয় করার জন্য বাধ্য করে আমরা কোন সঠিক বিচার কারো কাছে পাইনি, শালীশরা টিটুর পক্ষে কাজ করেছে। তিনি আরো বলেন তারা সঠিক বিচার করেনি তাই আমি বাধ্য হয়ে আদালতে একটি অভিযোগ করেছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, টিটু সম্পত্তি কিনেছেন আগে যেভাবে ছিলো টিটু বেপারি ঠিক সেভাবেই আগের চৌহদ্দি মত জমি ভোগ দখলে আছে। তবে অনেকদিন যাবৎ এই জায়গা নিয়ে ঝামেলা চলতেছে আর টিটু বেপারীর জায়গায় দেয়া বেড়া গুলো মোজাফফর মীরের স্ত্রী ও তার মেয়ে মিতু এসে ভেঙ্গে ফেলে। এসময় জমির প্রকৃত মালিক নিরীহ কামরুল ইসলাম টিটু বেপারী বলেন, যদি আমার কোন অন্যায় পান তাহলে আমার বিচার হবে। আমি আমার সম্পত্তি কাগজ অনুযায়ী ভোগ দখলে আছি, কিন্তু কিছুতেই তারা আমায় শান্তি দিতেছেনা। আমিতো কারো সম্পত্তি জোর পূর্বক দখলে যাইনি টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছি। কিন্তু তাদের অত্যাচারে আমি অতিস্ট তাই চেয়েছিলাম শালীশদের সিধান্ত অনুযায়ী তাদের কাছে বিক্রি করার কিন্তু তারা চাচ্ছে জোর করে আমার সম্পত্তি ভোগ করতে। আমি এর সঠিক বিচার দাবী করছি।প্রতিপক্ষরা ওই জমি নিজেদের বলে দাবি করলেও তারা আদালতে কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের নিকট কোন দলিলপত্র দেখাতে পারছে না। আমরা প্রশাসনের নিকট ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি। আর এদিকে পান্না বেগম প্রশাসন ও আইন-আদালতকে তোয়াক্কা না করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ওই জমিটি আবারও নির্মানের চেষ্টা করছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।