গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে একটি বিদেশি রাষ্ট্রের পদানত করে রাখা। সামরিক শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমরা বাংলাদেশকে রক্ষা করতে যেন ব্যর্থ হই, আমাদেরকে যেন অন্যের দয়ার ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয়, সে রকমের একটা প্রচেষ্টা থেকেই পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে চকবাজার অগ্নিকাণ্ডের যোগসূত্র রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল বাংলাদেশকে সামরিকভাবে পঙ্গু করার চেষ্টা। ঠিক একইভাবে ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের ঘটনাটা ছিল বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার প্রচেষ্টা।
তিনি বলেন, চকবাজারের ঘটনা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, ভারতের নকল মালের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী কেরাণীগঞ্জ আর চকবাজার। এই কেরাণীগঞ্জ আর চকবাজারই ভারতের নকল মালকে অনুকরণ করতে পারে, তার বিপক্ষে দাঁড়াতে পারে। অর্থাৎ ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার একমাত্র প্রতিবন্ধক চকবাজার-কেরাণীগঞ্জ। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড আর চকবাজার অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী ‘র’। সম্প্রতি তাদের সঙ্গে যোগ হয়েছে ইসরালি গোয়েন্দা বাহিনীর বলেও জানান তিনি। দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরো অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ অন্যরা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।