চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৬টি মরদেহ শনাক্ত করে তা স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় ২১টি মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে ফ্রিজ নষ্ট থাকায় সংরক্ষণের জন্য মরদেহগুলোকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে।শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গের সামনে ঢাকা জেলা প্রশাসনের তথ্যকেন্দ্র সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ আল মনসুর জানান, এ পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি মরদেহগুলো নিতে স্বজনরা আসছেন। তাদের তথ্য সংগ্রহ করে মরদেহ সংগ্রহের ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। এখান থেকে সার্বিক সহযোগিতা ও মরদেহের সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী ২০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, বাকি ২১টি মরদেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা আবশ্যক। এ বিষয়ে আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেন, বাকি মরদেহগুলো পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই এ বিষয়ে সিআইডির একটি দল আসবে ডিএনএ পরীক্ষা করতে।এদিকে মর্গের ফ্রিজ নষ্ট থাকায় সবগুলো মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। তাই মরদেহগুলো বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো আতিকুর রহমান বলেন, ঘটনা দুইদিন আগের অর্থাৎ বুধবার রাতে। যে কারণে মরদেহগুলো হিমাগারে রাখা খুব জরুরি। আর ঢামেকের মর্গের ফ্রিজ নষ্ট থাকায় সেগুলো বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমাগার ছাড়া জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে মরদেহ রাখা আছে। এখান থেকে স্বজনেরা যদি কোনো মরদেহ শনাক্ত করতে যেতে চান তাহলে এসব হাসপাতালে আমাদের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে পাঠানো হবে। এছাড়া এখনও বিভিন্ন স্বজনরা মর্গের সামনে আসছেন, মরদেহ শনাক্ত করছেন। মরদেহগুলো চকবাজার থেকে ব্যাগে ভর্তি করে শুধু ব্যাগ নাম্বার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমাদের কাছে আর কোনো তথ্য নেই। স্বজনরা শনাক্ত করতে না পারলে ডিএনএ টেস্টের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হবে।বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬৭ জন পুড়ে মারা যায়। চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আবাসিক ভবনটিতে কেমিক্যাল গোডাউন থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।