পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় যেখানে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে সেখানে কেমিকেলের কোনো অস্তিত্ব ছিল না বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। পুলিশের বরাতে গণমাধ্যমে ওই এলাকায় একাধিক কেমিকেল গোডাউন থাকার কথা উঠে এলেও তা নাকচ করে দিয়েছেন মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেটা ছিল একটি রেস্টুরেন্ট। এটা হচ্ছে সিলিন্ডার ব্লাস্ট। ওই এলাকায় গ্যাসস্বল্পতা ছিল। হোটেলে সিলিন্ডারের গ্যাস ব্যবহার করতো। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা কেমিক্যাল এরিয়া না, এখানে কেমিক্যালের কোনো অস্তিত্ব নেই, কোনো গোডাউনও ছিল না।’ নিমতলীর ঘটনার প্রায় ১০ বছর পরও কেমিক্যাল গোডাউন সরানো গেল না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কি ভিন্নগ্রহ থেকে এসেছেন নাকি? আমরা কি ঢাকা শহর গুঁড়িয়ে দেবো?’ তিনি বলেন, ‘পুরান ঢাকার কেমিক্যালের ব্যবসা বন্ধ করা যাবে না। কারণ এই ব্যবসা বংশ পরম্পরা। এর সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত। আমি পুরান ঢাকার মানুষ। আমি জানি।’
ব্যবসায়ীরা পুরান ঢাকা ছাড়তে চায় না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিল্পনগরী গড়ে তুলছি। এটা দেখতে আরও ১০ বছর অপেক্ষা করতে হবে না। আমাদের বাস্তবতা বুঝতে হবে। অর্থনৈতিক প্রবাহ বন্ধ করা যাবে না।’আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল ব্যবসা বন্ধ হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না। আমরা কাউকে উচ্ছেদ করবো না। তবে তাদের নির্দ্দিষ্ট এলাকায় নেওয়া হবে।’ শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘নিমতলীর ঘটনা আর চকবাজারের ঘটনা একদম ভিন্ন। এটা কেমিক্যাল সম্পর্কিত কিছুই না। সিলিন্ডার থেকে এটা হয়েছে। আজকের ঘটনা ভিন্ন। এটা কেমিক্যাল সম্পর্কিত কিছুই না। আমি সরেজমিনে দেখে এসেছি।’ অগ্নিকাণ্ডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ- ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় থাকা একাধিক কেমিক্যাল গোডাউনের কারণে খুব দ্রুত আগুন আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের সময় ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলি আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, একটি সিএনজি বহনকারী পিকআপ ট্রাকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পরপরই পাশে থাকা গোডাউনের দোকানে আগুন লেগে যায়, ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।