সাগর-রুনির হত্যাকারীরা ধরা পড়বেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৮:০৭ অপরাহ্ন
সাগর-রুনির হত্যাকারীরা ধরা পড়বেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন নাহার রুনি হত্যার বিষয়ে আমরা প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর রাখছি। আশা করছি, দ্রুতই একটি সমাধানে পৌঁছতে পারব। তাদের খুনিরা ধরা পড়বেই। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটের (ডিআরইউ) এক স্মারকলিপি নিয়ে তিনি একথা বলেন। এর আগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন সাংবাদিকরা। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ফার্মগেটের পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি। দুখের বিষয় হত্যাকাণ্ডের ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও খুনিদের ধরা পড়া দূরে থাক, আজও সনাক্ত করায় সম্ভব হয়নি। বিচার প্রক্রিয়াও থমকে আছে।’ সাংবাদিক নেতারা অবিলম্বে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার বিচার এবং খুনিদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে র্যা লি নিয়ে সাংবাদিকরা সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে একটি স্মারকলিপি দেন। 

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। আমরা প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর রাখছি। আশা করছি, দ্রুতই একটি সমাধানে পৌঁছতে পারব। খুনিরা ধরা পড়বেই।’ দীর্ঘ সময়েও হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় তিনি নিজেও ‘বিব্রত’ বলে জানান। মন্ত্রীর আশ্বাসের জবাবে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলায় যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ রয়েছে, সেটি যেন আর না পেছায়, সেজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাংবাদিক নেতারা। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টিভির বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলা জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনিকে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় নৃশংসভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সে সময় বাসায় ছিলেন এই দম্পতির একমাত্র ছেলে তিন বছর বয়সী মেঘ। পরের দিন রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যা বের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু, বিগত সাত বছরেও এই মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতির পাওয়া মেলেনি।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব