'ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খেয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনা সত্য নয়'

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৯:৪১ অপরাহ্ন
'ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খেয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনা সত্য নয়'

ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে কোনো শিশুর মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।  তিনি বলেন, শনিবার দেশব্যাপী পরিচালিত ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে সোয়া দুই কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। তবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে কোনো শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির (এনএফএসএল) আইএসও সনদ অর্জন এবং দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত খাবারের মান সম্পর্কিত গবেষণা কাজের ফলাফল প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন। জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে সুহৃদ রায় নামে ১৫ মাস বয়সের এক ছেলে মারা গেছে বলে অভিযোগ ওঠে। শনিবার সকালে সরকারি কর্মসূচির ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ার পর ওই শিশুর বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয় এবং বিকেলে মারা যায় বলে সুহৃদের অবিভাবকসহ এলাকাবাসীর দাবি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে একটি শিশুর মৃত্যু ঘটেছে বলে যে খবর পাওয়া গেছে তার মৃত্যুর সঙ্গে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের কোনো সম্পর্ক নেই। 

তিনি বলেন, শিশুটি সুস্থ অবস্থায় টিকা খেয়ে বাড়ি গিয়ে ঘুমিয়েছে। ঘুমে থাকা অবস্থায় তার মা তাকে সুজি খাওয়ায়। তখন সেই সুজি তার শ্বাসনালীতে প্রবেশ করে সমস্যার সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে এ কারণেই তার মৃত্যু ঘটে। খবর পাওয়ার পরেই বিষয়টি তদন্তে স্থানীয় সিভিল সার্জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।  আইএসও সনদ অর্জন করায় ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমাদের এখন আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব হয়েছে। এখানে খাবারের মান যাচাই করা হবে। পাশপাশি দেশের মানুষ যেন নির্ভেজাল, মানসম্পন্ন খাবার খেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।  স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বস্বাস্থ্য) হাবিবুর রহমান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি, নেদারল্যান্ড দূতাবাসের আন্ডার সেক্রেটারিসহ জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক নির্মলেন্দু চৌধুরী প্রমুখ। দীর্ঘ তিন বছরের পরিক্রমায় এনএফএসএল গত ২৫ অক্টোবর আইএসও সনদ অর্জন করে। যা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে খাদ্য পরীক্ষাগার হিসেবে প্রথম। এর ফলে আন্তর্জাতিকভাবে খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্যের পরীক্ষা সংক্রান্ত রিপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে এবং রফতানি পণ্যের প্রয়োজনীয় মান পরীক্ষা দেশেই করা সম্ভব হবে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব