মেধাবী ছাত্র রিপন সাহার দু’চোখভরা স্বপ্ন। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গেই তার সেই স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাচ্ছে। সতেরো বছরে পা দিয়ে জীবন হয়েছে বিষন্ন। কারণ, একচোখে পৃথিবীর আলো দেখলেও আরেক চোখ থেকেও যেন অন্ধ। ছোটবেলায় জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বা পাশের চোখটা দিনদিন ঢেকে যাচ্ছে মাংসপিন্ডে। ফলে দু’চোখের দৃষ্টি স্বাভাবিক থাকলেও এখন একচোখে দেখে পথ চলতে হয়। তবুও নানা বাধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করে পথ চলতে চলতে রিপন অনেকটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। সে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (বিএম) কলেজের দাদ্বশ শ্রেনীর ছাত্র।
তখন রিপনের বয়স এক বছর। একদিন গায়ে প্রচ- জ্বর আসে এর পর মুখের বা পাশে মাংস ফুলে ওঠে। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে মাংসপিন্ডে। এরপর ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ নিয়েছি। কিন্তু কোন পরিবর্তণ হয়নি। এখন বা পাশের চোখটা পুরোপুরি ঢেকে গেছে। মুখ আর থুতনির পাশেও মাংস বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন রিপনের মা শেপালি রাণী। উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের দিনমজুর জয়দেব সাহার বড় ছেলে রিপন। অভাব অনটনের সংসার। মাঝে মধ্যে বাদাম বিক্রি করে থাকেন তিনি। একাই উপার্জন করে কোনমতে সংসার চালায় সে। এর ওপড়ে ছেলেদের পড়াশুনার খরচ সহ সাংসারিক খরচা , চিকিৎসার জন্য তিন লক্ষাধিক টাকা যোগান দেয়া দুঃসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে। তাইতো বাবার পক্ষে তার চিকিৎসা খরচ চালানো সম্ভব না হওয়ায় বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।
রিপনের বাবা জয়দেব সাহা বলেছেন, মাসখানেক আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েছি। তারা বলেছেন তিন ধাপে অস্ত্রোপচার করে চিকিৎসা করতে হবে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচা হতে পারে। আমি অসহায় মানুষ এত টাকা আমার পক্ষে বহন করা অসাধ্য হয়ে পড়েছে। ছেলের চিকিৎসা করানোও জরুরী। সমাজের আরও কয়েকটি সুস্থ্যসবলদের কিশোরের মত রিপনও দু’চোখে সমান দৃষ্টি পাওয়ার আক্ষেপ রয়েছে। তাইতো গায়ের এপাশ ওপাশ ধরে সমাজের নানা শ্রেনীর মানুষসহ বিত্তবানদের কাছে সহোযোগিতা নিয়ে সুস্থ্য হতে চায়। ছোটবাইশদিয়া বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রিপন আমাদের কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র। অর্থাভাবে ওর ভাল চিকিৎসা করাতে পারছে না। ওর চিকিৎসা সেবার জন্য ইতোমধ্যে আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকেও সহযোগিতা করছি।
সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করুন রিপনের বাবা জয়দেব সাহা মোবাইল ০১৭৮৫৪২০১৭৩।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।