বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সড়ক বিভাগের উন্নয়ন কাজের জন্য উপজেলার প্রধান খালে দেয়া একাধিক বাঁধের কারণে চাষিদের পানি সেচে সংকট হওয়ায় বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা বাঁধ অপসারনের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। পরে বিক্ষুব্ধ চাষি, কৃষি কর্মকর্তা ও সওজ বিভাগের সংশ্লিষ্ঠ লোকজন নিয়ে নিজের কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে মোট ৯ হাজার ৬শ ৬৩ হেক্টর জমি ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে চাষাবাদে নেমেছে কৃষকেরা। ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩ হাজার ৩শ ১৩ মে.টন চাল।
পানি সংকটে ক্ষতিগ্রস্থ চাষিরা জানান, বরিশাল সড়ক বিভাগের উন্নয়ন কাজের আওতায় আগৈলঝাড়ায় সড়ক উন্নয়ন ও ব্রীজ নির্মাণের জন্য উপজেলা সদর, কান্দিরপাড়, গৈলা খালের মুখে তিনটি বাঁধ দেয়া হয়। ওই বাধের কারণে বøকের শুরুতেই পানির সংকটে পরে চাষাবাদ ব্যহত হলে বিক্ষুব্ধ চাষি ও উপজেলা প্রশাসন খালের বাঁধ কেটে দেয়। কৃষকের অভিযোগ, কাটা বাঁধের অংশ দিয়ে খালে জোয়ারের সঠিকভাবে পানি প্রবাহ হচ্ছে না। ফলে এখনও অনেক বøকের চাষিরা পানির অভাবে জমিতে ধানের চারা রোপন করতে পারছেন না চাষিরা।
এদিকে সড়ক বিভাগের উন্নয়ন কাজের জন্য ওই বিভাগের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে কাজ শুরু ও শেষ করতে না পারার আশংকায় রয়েছেন ঠিকাদার। তাই কাজ শেষ করার জন্য বøকের সময়ের মধ্যেই খালে বাঁধ দিয়ে কাজ করার তাগিদ দিচ্ছেন তারা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস এলাকার উন্নয়ন ও চাষাবাদের উভয় সংকটের আলোচনা শেষে বিষয়টি স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র সাথে আলোচনা সাপেক্ষ তার সিদ্ধান্তর কথা চাষিদের অবহিত করবেন বলে চাষিদের অবহিত করেন। ইউএনও অফিসের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক সরদার, রাজিহার ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী রানী সরকার, বরিশাল সওজ’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ফিরোজ আজম খান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু হানিফ, ঠিকাদার পক্ষের লোক আবুল কালাম, সাবেক ইউপি সদস্য অতুল সরকার প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।