তাবলিগের দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১২:৪৩ অপরাহ্ন
তাবলিগের দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের বিষয় নিয়ে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও ধর্মমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিসুর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষ উপস্থিত রয়েছে। বৈঠকে তাবলিগ জামাতের অনেক প্রতিনিধির ভেতরে জায়গা না হওয়ায় অনেককেই বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ধর্মমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, তাবলিগের দুই পক্ষ এক হওয়ার পর গত ২৪ জানুয়ারি সচিবালয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর নিজ দফতরে তাবলিগ নেতাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় এবারের বিশ্ব ইজতেমা এক পর্বে হবে। তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষ মিলে ১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা আয়োজন করবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ তাবলিগ জামাতের দিল্লির আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিভিন্ন সময়ের বক্তব্য নিয়ে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশের তাবলিগ জামাত। আলেমরা সাদবিরোধী ও সাদপন্থী দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এক গ্রুপে রয়েছেন সাদ কান্ধলভিপন্থী বাংলাদেশ তাবলিগের শূরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম। অপর গ্রুপে রয়েছেন মাওলানা সাদবিরোধী কওমীপন্থী শূরা সদস্য মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।

এ বিভক্তি চরম আকার ধারণ করে গত বছরের জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার সময় মাওলানা সাদের বাংলাদেশে আসার পর। বিরোধীদের বাধার মুখে ইজতেমায় অংশ না নিয়েই মাওলানা সাদকে ওই সময় বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল। গত ১ ডিসেম্বর ইজতেমা মাঠে দুই পক্ষের হতাহতের ঘটনাও ঘটে। টঙ্গীতে তুরাগ নদীর তীরে বিশ্বের মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় সম্মেলন ‘বিশ্ব ইজতেমা’র আয়োজনও করেছিল তাবলিগ জামাত। তবে নির্বাচনের আগে সরকার দুই পক্ষের সঙ্গে সভা করে ইজতেমা স্থগিত করে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর