ডিস ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষে চেয়ারম্যান-কাউন্সিলরসহ আহত ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক
এফ এম নাজমুল রিপন
প্রকাশিত: বুধবার ৩০শে জানুয়ারী ২০১৯ ০৮:১৯ অপরাহ্ন
ডিস ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষে চেয়ারম্যান-কাউন্সিলরসহ আহত ১০

ডিস ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেলে ও রাতে দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও পৌর কাউন্সিলরসহ কমপক্ষে ১০ন আহত হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় বিল্বগ্রাম বাজারে রাতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।  স্থানীয় ও আহত সূত্রে জানা গেছে, ডিস ব্যবসা নিয়ে গত সম্প্রতি গৌরনদী উপজেলা যুবলীগ নেতা পিন্টু গুহ গ্রুপ ও গৈলা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা জামাল গোমস্তা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার পতিহার গ্রামের ডিস ব্যবসায়ী মৃতুঞ্জয় সরকার ও লক্ষণ দে’র বৈধ ডিস ব্যবসার সঞ্চালন লাইন কেটে দেয় জামাল গোমস্তা, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ফিরোজ রহমানসহ তাদের লোকজন। জামাল গোমস্তা গ্রুপের অভিযোগ, পিন্টু গুহ ও তাদের সহযোগীরা এলাকায় অবৈধভাবে ডিস লাইন চালাচ্ছে। তারা বাধা দিলে কিছুদিন আগে তাদের সঞ্চালন লাইন কেটে দেয় পিন্টু গ্রুপের লোকজন। এ নিয়ে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। মঙ্গলবার পিন্টু গ্রুপের লাইন কাটা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে বিকেলে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলা-পাল্টা হামলায় গৈলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জামাল গোমস্তা, গৌরনদী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা ফিরোজ রহমান ও প্রতিপক্ষ গ্রুপের মৃত্যুঞ্জয় সরকার ও লক্ষণ দে, দীপালী দে, কল্পনা দে, কল্যানী দে, বাড়িতে কাজ করা কাঠ মিস্ত্রী বিভূতি হালদার, বিপুল গাইন আহত হয়। 

এ সময় লক্ষণ দে’র বসত ঘর ও আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। পিন্টু গুহ ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেল বেপারী নামক এক ব্যাক্তির প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা মূল্যের একটি স্পাইসি মেশিন (ডিস লাইন জোড়া দেয়ার মেশিন) নিয়ে যাবারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় গুরুতর আহত মৃতুঞ্জয় সরকার ও লক্ষণ দে’কে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাবেক চেয়ারম্যান জামাল গোমস্তা, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ফিরোজ রহমানকে গৌরনদী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। একই দিন রাতে প্রতিপক্ষ জামাল গোমস্তার লোকজন গৈলা ইউনিয়নের সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম দরবেশকে বিল্বগ্রাম এলাকায় বসে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় দরবেশকে উদ্ধার করে প্রথমে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ও তাৎক্ষনিক মুমূর্ষু অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ যুবলীগ নেতা টিুট শিকদার, সুজিত দাস ও সুমন গোমস্তাকে আটক করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই হামলাকারী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জামাল গোমস্তা তার ভাই কামাল গোমস্তা, সহযোগি সুজিত দাস, টিটু সিকদার, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ফিরোজ রহমানসহ ১৭জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনকে আসামি করে সাইফুল ইসলাম দরবেশের ভাই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব